ধর্মীয় বর্বরতার কারনেই তরুণেরা ধর্ম থেকে বেরিয়ে আসছে

যুগ যুগ ধরে ধর্মকে পুজি করে একদল মানুষ এক বিশাল বানিজ্য পরিনত করেছে এই ধর্ম কে। ধর্ম এর নামে মিথ্যে ভয় মিথ্যে যুক্তি দেখিয়ে মানুষকে দমিয়ে রাখার এই মিথ্যে অজুহাত যখন একদল শিক্ষিত মানুষ ধরতে পারে ঠিক তখনই শুরু হয় লড়াই সত্যে আর মিথ্যের মধ্যে লড়াই। কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাকে বাচিয়ে রাখার জন্য শুরু হয় মিথ্যে হাদিস কোরানের বানী শুনানো। আপনি নাস্তিক সেটা জানার পর আপনার পরিবার পরিজন বন্ধু বান্ধব আপনার জন্য বিশাল বড় গলার কাটা হয়ে যাবে কারন তাদের অন্ধবিশ্বাস বলে আপনি তাদের জন্য ক্ষতিকারক । এই বানানো ধর্ম , বানানো সৃষ্টিকর্তার কাল্পনিক আইনে আপনি ধামাচাপা পড়বেন। কিন্তু রাষ্ট্র ,সমাজ, অর্থনীতি, আইন ও বিচার ব্যবস্থায় যখন এই ধর্ম এর নামে আপনাকে শোষন করা শুরু করবে তখনই আপনি তোপের মুখে পড়বেন সমাজের লাগাম চালানো ধর্মব্যাবসায়ীদের কাছে।এদের কাছে নারী মানে কালো বোরকায় আব্রু ঢাকা , মুখ বন্ধ করে রাখা পুরুষের যৌনমিলনের জন্য ভোগ্যবস্তু । নারীদের কথা বলার অধিকার নেই। নারী মানেই রান্নাঘরে চুলা ঠেলবার দাসী। নারী উচ্চস্বরে কথা বলতে পারবে না। নারী বাজারে যেতে পারবে না। শত নির্যাতন সহ্য করেও স্বামীকে খোদা মানতে হবে কারন স্বামীর পায়ের নিচে নাকি তাদের বেহেশত। আর স্বামী একাধারে ৪-৫ টা বিয়ে করতে পারবে এই ধর্ম এর নাম ভাংগিয়ে, বৌ পেটাতে পারবে আর বৌকে ঘরের ভিতর বন্দী করে পুরুষত্ব ফলাতে পারবে।

ধর্মের নামে এই গোড়ামির বিরুদ্ধাচরণ আপনি সমাজে দেখালে আপনি হয়ে যাবেন সমাজের ধর্ম এর শত্রু। তখন এই ধর্মব্যাবসায়ীরা আপনাকে শুলে চড়াবে কারন আপনি এদের বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দিচ্ছেন।

আপনি যদি এদের বিজ্ঞান এর ভাষায় শেখাতে চান তাহলে আপনাকে তারা বুঝিয়ে দিবে এই বিজ্ঞান যুক্তি সবই ভুল শুধু তাদের ধর্ম সত্য তাদের খোদা সত্য। স্পিরিচুয়াল কিছু তারা গন্য করে না সবই তাদের বানানো খোদার ধর্ম।

বিজ্ঞানের এই যুগে যখন মোটামুটি সবার কাছে কম্পিউটার ইন্টারনেট পৌছে গেছে তখন এই আধুনিক যুগের তরুন তরুনী বেড়িয়ে আসছে ধর্ম এর নামের গোড়ামি থেকে। শুধু ইসলাম ধর্মই না বরং হিন্দু ধর্ম, খ্রিস্টান ধর্ম থেকেও বহু মানুষ বের হয়ে আসছে ধর্মীয় গোড়ামি থেকে।

বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে এতো বেশি বর্বরতা যা তাদের ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ আছে তা এই তরুন সমাজ বুঝতে পেরেই সরে আসছে। কিন্তু এই ধর্মের মিথ্যাচার ও অপযুক্তি গুলো এমনভাবে শিশুকিশোরদের মনে গেথে দিচ্ছে ধর্মব্যাবসায়ীরা যে এদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন ।

যারা সুশিক্ষিত তারাই পারছে এই ভন্ড ধর্ম থেকে বেড়িয়ে আসতে।