নীলয়, আপনি জানেন না, আপনার, আমাদের লেখালেখির একটা যৌক্তিকতা মানুষের মাঝে একটু একটু করে উন্মোচিত হচ্ছে। এতকাল আমরা যে দাবী করে এসেছিলাম, মসজিদের খুতবায় ঘৃণা ছড়ানোর যে অভিযোগ করতাম, কুরআনের আয়াতের যে সহিংসতার কথা বলতাম, হাদিসের আত্মঘাতি বাণী নিয়ে যে সব সচেতনতা দেখাতাম আজ সেসবই পরক্ষভাবে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। এই রাষ্ট্র খুতবা প্রচারের উপর কঠোর হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে মসজিদের ইমামদের। বয়ানের নামে কুরআনের কোন অংশ পাঠ করা হচ্ছে, সেখানে জিহাদ আছে কিনা- সে বিষয়ে সরকারের বড় মাথারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। পিস টিভির মত কুরআন-হাদিসের চ্যানেল বন্ধ করতে সরকার বাধ্য হয়েছে…।
এখন আর এসব এদেশের মানুষের কাছে ‘ইসলাম বিদ্বেষ’ নয়। এখন এসব দেশের মানুষের জন্য ‘নিরাপত্তা’ ব্যবস্থা! মানুষকে অসাম্প্রদায়িক হতে, ধর্মের কুসংস্কার ও অন্ধ অনুসরণ হতে তাদের মুক্তি দিতে আপনারা যারা লিখে নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন- এটি আপনাদের একটি বড় বিজয় ও স্বীকৃতি। আমি জানি, আগামী দিনের মানুষ আপনাদের লেখা অনেক আগ্রহ নিয়ে খুঁজে পড়বে।
এটিই আপনার আমাদের লেখার যৌক্তিতা…। ….আমি আপনার খুনের বিচার চাইব না। আমি চাই আপনার খুনিদের যারা প্রশ্রয় দিয়েছে, খুনিদের হয়ে যারা সাফাই গেয়েছে, খুন আর লেখালেখিকে জাস্টিফাইকারীদের পরাজয়ই আমার কাম্য। আর সেখানেই আপনাদের যৌক্তিতা আর চিন্তার স্বীকৃতি। আমি আপনার, আপনাদের, আমাদের সেই স্বীকৃতি চাই…। ‘ধর্মরাষ্ট্রের’ কাছে বিচার চেয়ে লাভ নেই…।