জবরদস্তি ও ধর্মের নামে নারীর ওপর বোরখা-হিজাবের শাসন

বোরখা-হিজাবকে ‘ইসলামের বিধান’, ‘শালীনতা’ হিসেবে সামনে তুলে ধরা হলেও, অধিকাংশ নারীকেই নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, জোর করে, হুমকি, মানসিক চাপ দিয়ে এসব পোশাক পরতে বাধ্য করা হয়। মেয়েরা স্কুলে, কলেজে, মাদ্রাসায়, কর্মস্থলে—সব জায়গায় শুধু “ধর্মের জন্য” মাথা নিচু করে, নিজের পোশাক নিয়ে কথা বলতে পারে না।
যাদের হাতে স্বাধীনতার অধিকার নেই, তাদের জন্য পোশাক হয়ে যায় সামাজিক বাঁচা-মরার লড়াই।

ইসলামিক পরিবারে পুরুষরা ধর্ম, সমাজ, পরিবারের সম্মান, বংশের মর্যাদা—এসব দাবী করে নারীর ওপর বাধ্যতামূলক বোরখা-হিজাব চাপিয়ে দেন। মেয়েরা সাহস করে না, প্রতিবাদ করতে পারে না; কারণ ছোটবেলা থেকে শুনে আসছে, “শালীনতা রাখ, পর্দা কর, না করলে তুমি খারাপ, তুমি গুনাহগার, সমাজের জন্য অপয়া।”

এভাবে পোশাক নারীর ব্যক্তিত্ব, স্বাধীনতা, আত্মসম্মান ছিনিয়ে নেওয়ার হাতিয়ার।
এমনকি কেউ যদি হিজাব বা বোরখা পরতে না চায়, তাকে পরিবার, শিক্ষক, সমাজ, আলেম—সবাই মিলে দোষী বানায়, ধর্মীয় আইন সামনে এনে ভয় দেখায়। আজও নারীর পোশাক-বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা নেই, তার মত প্রকাশের অধিকার নেই।

নারীকে শর্তহীনভাবে, নিজের ইচ্ছায় পোশাক পরার অধিকার দিতে হবে। ধর্মীয় জবরদস্তি, পরিবারের হুমকি, পুরুষতন্ত্রের শাসন—এইসবের বিরুদ্ধে আত্মসম্মান, সাহসিকতা ও সমাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
নারীর স্বাধীনতা মানে শুধু বাড়ির বাইরে যাওয়া নয়, নিজের চিন্তা, পোশাক, সত্তার ওপর পূর্ণ অধিকার—এটাই আসল মুক্তির চাবিকাঠি।