একজন ডাক্তার হওয়ার সুবাদে মেডিকেলের ন্যূনতম জ্ঞান থাকলেও, জাকির নায়েক বিজ্ঞান, শুধুমাত্র ধর্মীয় বয়ান, অদ্ভুত উদাহরণ, ভুল তথ্য ছড়াতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। চন্দ্র, সূর্য, বিকাশ, মানবদেহ, মহাবিশ্বের গঠন—সবকিছুর ব্যাখ্যাতে ইসলামিক কোরান-হাদিসের বানানো “বিজ্ঞান” তুলে ধরেন, অথচ আধুনিক গবেষণা, সত্যিকার তথ্য, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সম্পর্কে হাস্যকর অজ্ঞতা দেখান।
আসল কথা হচ্ছে, জাকির নায়েকের মতো কট্টর ধর্মীয় বক্তা, বিজ্ঞানের চর্চায় ব্যর্থ, আবিষ্কারে অক্ষম, সত্য অনুসন্ধানে অন্ধ। ধর্ম নিয়ে ব্যবসা, বিভ্রান্তি, পাগলাগারদ যুক্তি ছড়ানো ছাড়া ইসলামকে “বিজ্ঞানপ্রেমী” প্রমাণ করতে পারেন না। ধর্মীয় আবরণে বিজ্ঞানকে বিকৃত করে; ভুল, ভুল, ভুলের চক্রে ভক্তদের স্মার্ট আলোচনায় ঠেলে দেন।
একজন ডাক্তার যদি সত্যিই বিজ্ঞান বোঝেন, তাহলে বিজ্ঞানের আলোয় ধর্মের অন্ধত্ব, কুসংস্কার, ভিত্তিহীন যুক্তি ও মিথ্যাচার উন্মোচন করতে পারতেন। কিন্তু জাকির নায়েক পারেন না, বরং গোঁড়া দর্শন, ধর্মীয় ধর্মব্যবসায়, কুসংস্কারের ব্যবসা বাঁচাতেই দিনরাত ব্যস্ত।
এই ধরনের বক্তা তথা ডাক্তারদের সবচেয়ে বড় সমস্যাই হলো—তারা সমাজে ধর্মের নামে চরম সংকীর্ণতা, বিজ্ঞানবিমুখতা ছড়িয়ে দেয়। বিজ্ঞান, মুক্তচিন্তা, আলো—সবকিছুর বিপক্ষে ধর্মীয় কাপড় দিয়ে জাতিকে বোকা বানায়। শিক্ষা, বিবেক, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হলে, জাকির নায়েক-ধর্মান্ধ বক্তাদের অজ্ঞতা, ভণ্ডামি উন্মোচন জরুরি।