মদিনার সত্যিকারের উন্নয়ন-কাহিনিতে সম্মিলিত শ্রম, রক্ত, ঘাম, কান্না – সব ছিল। ইসলামিক বাহিনীর বিজয়ের গল্পের আড়ালে সেইসব ইহুদি, খ্রিষ্টান, ধর্মনিরপেক্ষ মানুষদের কষ্ট, সংগ্রাম, জীবনের মূল্য রয়ে গেছে অস্বীকারী। শহরের বাজার, ঐতিহাসিক ভবন, জৌলুশ, সুরক্ষা—এ সবই ছিল হাজার হাজার অমুসলিম শ্রমিক, গোলাম, নির্যাতিত জনতার ফল।
ইহুদি উপজাতি, পলিথেইস্ট, এবং নানা বণিক-শ্রমিকদের ওপর জুলুম, সম্পদ কেড়ে নেয়া, দাস বানানো, বাড়িঘর দখল, সংগঠিত হত্যাকাণ্ড – সবকিছুই ইসলামের বিজয়ী পতাকায় ঢাকা পড়ে যায়। উন্নয়নের নামে অমুসলিমদের রক্তপাত, বিতাড়ন ও নিঃশেষকরণকে ইসলামী ইতিহাস মহিমা বানিয়ে প্রচার করে।
এখনো যারা মদিনার উন্নয়ন, সৌন্দর্যের গল্পে “ইসলাম”কে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখেন, তারা কি সত্যের মুখোমুখি হয়েছেন? বিলাসিতার অসংখ্য ভবনের নীচে চাপা পড়ে আছে হাজার হাজার মানুষের কান্না, ত্যাগ, অবিচার, উৎপীড়ন। ধর্মের নামে বিজয়-বিলাসের গল্প কেবল অফিসিয়াল মুখোশ, ভিতরের চেহারা জুলুম আর নির্মমতার প্রশ্ন তুলতেই হবে।
ইসলামের বিজয়গাথার আড়ালে, মদিনার সত্যিকারের উন্নয়ন ঐতিহাসিক ভাবে যে কারও রক্তের দামেই হয়েছে, তা অস্বীকার করেও বাস্তব পাল্টানো যায় না। ধর্মের গল্প না শুনে বিজ্ঞান, মানবিকতা, ঐতিহাসিক সত্যানুসন্ধান চাই – যাতে ভবিষ্যতের শহর নির্মাণ আরেকবার আর কারও রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে না থাকে।
এই অমুসলিম, সংখ্যালঘু, প্রান্তিক মানুষের রক্তের গল্প হোক ধর্মীয় গর্ব নয়, বিবেকের জিজ্ঞাসা, ন্যায়বোধ, ইতিবাচক মানবিকতার অন্তর্দীপ্ত অনুরণন।