আলেমরা সব সময় ধর্মের নাম নিয়ে জনগণকে বোকা বানাতে পছন্দ করেন। বড় বড় ফতোয়া, পাঞ্জাবি-দাড়ি, চেতনাহীন বয়ান, নারীর পর্দা সম্পর্কে অসংখ্য কুসংস্কার, সর্বক্ষণ নারীকে ছোট করে কথা বলা—সবই তাদের রক্তের মধ্যে মিশে আছে। মেয়েরা প্রতিবাদ করলে, শিক্ষার বা স্বাধীনতার কথা উঠলে, মেয়েদের সহজেই “কাফের”, “পাপিষ্ঠ” অথবা “জাহান্নামী” বলে দাগিয়ে দেয়া হয়। কর্মক্ষেত্রে নারী অগ্রগতির সমস্ত পথ আড়াল করার জন্য আলেমদের যুক্তি—”ইসলামে এ সুবিধা নেই”।
ধর্মের নামে তাদের ভণ্ডামি ও নোংরামি দেখে বিরক্ত লাগে। তারা জনগণের কষ্টের কথা ভাবে না, নারীর সম্মান বুঝতে চায় না, মানবতার খোঁজ কখনো করে না। ঠিক যখন সমাজের দরকার—সত্য, ন্যায়, সহানুভূতি, মানবিকতা—তখন তারা খবরের শিরোনামে বাসা বাঁধে কেবল ক্ষমতা, ভয়, ধর্মীয় সংকীর্ণতা নিয়ে। ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, সম্পত্তি আত্মসাৎ, দুর্নীতি এসবের বিরুদ্ধে তারা সেভাবে কথা বলেন না। তারা বরং নারীর ওপর নিয়ম, বিধিনিষেধ চাপাতে চান, পুরুষের জন্য সব সুবিধা উন্মুক্ত রাখতে তৎপর।
আলেমদের এই ভণ্ডামি, নাগরিক সমাজকে পশ্চাৎপদ রাখার মূল অস্ত্র। তারা নিজ পরিধিতে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা ছড়িয়ে সমাজকে জিম্মি করে, পর্দা, নিষেধ, ফতোয়া, নিষ্ঠুরতা ছড়াতে থাকেন। নারীদেরকে ঘরের কোণে রেখে “শালীনতা” রক্ষার গল্প বলেন, অথচ নিজেদের পরিবারের মেয়েরা কেনো শিক্ষিত হবে, পেশাজীবী হবে, সেটা কেউ ভেবে দেখে না। মেয়েরা ভোটাধিকার, নেত্রী হওয়া, স্কুলে যাওয়া, স্বাধীন মত প্রকাশ—সব বাদ দিয়ে শুধু ধর্মীয় শাসন বজায় রাখার জন্য তারা সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেন।
সমাজের সামনে আলেমদের বয়কট দরকার—তাদের অন্ধত্ব, ভণ্ডামি, নারী-বিদ্বেষের প্রতিবাদে। ইসলাম যদি সত্যই মানবিক ধর্ম হয়, তাহলে এসব কট্টর আলেমদের বিরুদ্ধে যুক্তিবাদী প্রতিবাদ, সামাজিক প্রতিরোধ, সাহসী আন্দোলন জরুরি। ধর্মের নামে ভণ্ডামি আর বাহানা চলবে না। নারী, শিশু, সাধারণ মানুষের মুক্তি চাইলে—এই কট্টর আলেমদের সামাজিক নিন্দা, বয়কট, প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং সৎ, মানবিক চিন্তা চর্চা করতে শেখানো উচিত।