সবাই জানে, মুখে ইসলাম-ইসলাম করে, অথচ সৎ চিন্তা, নৈতিকতা, সহানুভূতি, মানবিকতা কোনখানে নেই। রোজা রেখে হাঁটু পর্যন্ত দাড়ি রাখা, কোরান হাতে ছবি, অথচ ধর্মীয় ফতোয়া, নারী বিদ্বেষ, ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
যখন দেখি, নিজেদের সুবিধার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা, ক্ষমতা, টাকা, জনপ্রিয়তা অর্জন—সব অর্জনই ধর্মের আবরণে, তখন ভণ্ডামীর শেষ কোথায় বুঝা যায় না। এরা স্কুল-কলেজে ছেলে-মেয়েদের “ধর্ম শেখা”র নামে ঘৃণা, ভয়, বিভাজন, অপমান আর নিয়ন্ত্রণের বিষ ছড়ায়, অথচ নিজের বিছানায়, টেবিলে, ব্যবসায়, অফিসে মন্ত্রী/পুলিশ/ব্যবসায়ী হয়ে গেছে সবচেয়ে বড় ভণ্ড।
নারীর সম্মান, অধিকার, স্বাধীনতা নিয়ে ধর্মের নামেই সবচেয়ে বেশি রেষারেষি, নগ্নতার লজ্জা আর অভিযোগ আসে, অথচ মহল্লার আড়ালে, ফেসবুকের ইনবক্সে, অজানা সন্ধ্যায় তারাই সবচেয়ে বড় অপরাধী।
ধর্ম নিয়ে যারা বেশি চিল্লায়, তাদের ভণ্ডামীর কোন লিমিট নেই। বড় হুজুর, আলেম, ধর্মী নেতা—সবাই শুধু ক্ষমতা আর টাকার জন্য ধর্মকে নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র বানিয়েছেন, আর সাধারণ মানুষ বোকা হয়ে গেছে।
যদি সত্যিকার মুসলিম হতে চাই, তাহলে ভণ্ডামীর দরজা বন্ধ করতে হবে। সততা, মানবিকতা, সম্মান, আসল ধর্ম: এই সহজ পথে ফিরে আসতে হবে। না হলে এই সীমাহীন ভণ্ডামীর মধ্যেই ডুবে যাবে পুরো এক জাতি।
এখানে ধর্মান্ধ, সুবিধাবাদী, ভণ্ড, ক্ষমতাপিপাসু মুসলিমদের অবিশ্বাস্য ভণ্ডামি ও তাদের অসীম সীমালঙ্ঘনকে টক্কর দিয়ে বিবৃত হয়েছে। আরও উদাহরণ, গল্প কিংবা আধুনিক সমালোচনা চাইলে সংযোজন সম্ভব।