সবচেয়ে বিস্ময়কর, ধর্মের নামে কট্টররা নিজেরাই অহংকারে ভরা। যারা ভিন্নমত পোষণ করেন, নারীর স্বাধীনতা, মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের এক মুহূর্তেই কাফের, মুরতাদ, ইসলাম বিদ্বেষী বলে গালি দেয়া হয়। ধর্মের নামে নারীকে অবদমিত করা, প্রগতিশীল চিন্তাকে শত্রু বানানো, সাহসিকতার বদলে অদ্ভুত ধর্মীয় নির্দেশ—এটাই কট্টর মুসলমানদের মূল চর্চা।
আজও যারা নিজেদের ধর্ম নিয়ে এতটাই গর্বিত, অথচ পাশের দরিদ্র, নিপীড়িত, অসহায় মানুষের দিকে একবারও মুখ ফেরে না। ঘৃণা, হিংসা, বিদ্বেষ, অশ্রদ্ধা ছড়িয়ে কট্টর মুসলমানরা সমাজের শান্তি, মানবিকতাকে গভীর সংকটে ফেলে। তারা ধর্মের নামে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পথে হেঁটে যায়। ধর্মকে মানবতার জন্য নয়, বরং মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হাতিয়ার বানিয়ে ব্যবহার করেন।
এদের আচরণে ধর্মের সৌন্দর্য তথা ইসলামের যে সমস্ত মানবিক শিক্ষা, সহনশীলতা, ক্ষমাশীলতা, মমতা—সব হারিয়ে যায়। কট্টর ধর্মান্ধরা নিজেদের মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য ভয়, আতঙ্ক, সামাজিক ব্যাবধান, গালাগালি, এমনকি শারীরিক-মানসিক নির্যাতনও করতে কুণ্ঠিত হন না।
ধর্ম দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি কখনোই প্রকৃত ইমানের পরিচয় না। অথচ দিনদিন ধর্মীয় উন্মাদনা, অন্ধ গোঁড়ামি, কট্টরপন্থা এদেশের শান্তি নষ্ট করছে। এসব কট্টরদের অন্ধতা, হিংসা, অহংকারের বিরুদ্ধে সবার প্রতিবাদ দরকার। মানবতা, যুক্তিবোধ, সত্যিকারের ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠার লড়াই ছাড়া এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
ধর্মের নামে বিশৃঙ্খলা, বিভাজন নয়। সংস্কার, কুসংস্কার, অন্ধ ধর্মীয় গোঁড়ামির ইতিহাসের বিরুদ্ধে জনগণকে চিন্তা, বিশ্লেষণ এবং প্রতিবাদী কণ্ঠে এগিয়ে আসতে হবে।