প্রত্যেক শিশু যখন এই পৃথিবীতে আসে, সে কোনো ধর্ম সম্পর্কে জানে না; সে আল্লাহ, ঈশ্বর বা ধর্মের ভেদ বুঝে না। প্রাথমিকভাবে, প্রতিটি শিশু ধর্মের ধারণা ছাড়া বড় হয়, যা তাকে প্রাথমিকভাবে নাস্তিক করে তোলে। মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান প্রভৃতি বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা জন্মগতভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্মে আস্থা রাখে, কিন্তু একজন নাস্তিক তার নিজের বিবেক, বুদ্ধি এবং বিচার-বিশ্লেষণ করে নিজেকে নাস্তিক বলে ঘোষণা করে। নাস্তিকতা জন্মগত নয়, বরং ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও বিবেচনার ফল। একজন নাস্তিক প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেই তার বিশ্বাসের দিকে ঝুঁকে।
নাস্তিকতা কেবল একটি ব্যক্তিগত বিশ্বাস, যা একজন ব্যক্তি নিজের বুদ্ধি ও বিবেকের ভিত্তিতে নির্বাচন করে। কোনো ব্যক্তির নিজস্ব বিশ্বাসকে অসম্মান করার অধিকার অন্য কারো নেই। প্রতিটি মানুষের, তার বিশ্বাসের জন্য, সম্মান পাওয়ার অধিকার আছে। যদি কোনো ধর্মীয় গ্রুপ এটি সম্মান করতে অসমর্থ হয়, তাহলে তা সেই গ্রুপের ব্যর্থতা। যুক্তি ও তর্ক অনিবার্য, কিন্তু এজন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রয়োজন। সত্য সবসময় সত্যই থাকে, সেটা যত দিনই লাগুক না কেন। যুক্তির জবাব যুক্তিতেই দিতে হবে, তলোয়ারের মাধ্যমে নয়। সত্য স্বীকার করার জন্য কেবল বিবেক ও যৌক্তিক বিচার প্রয়োজন। প্রত্যেকের সিদ্ধান্ত তার নিজের এবং প্রত্যেকের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।
আমি কেন নাস্তিক হয়েছি তার কারণ হল, আমি যাকে কখনো দেখিনি, তাকে কীভাবে বিশ্বাস করতে পারি? কেউ কেউ প্রশ্ন করে, আমি কীভাবে নিশ্চিত যে আমার মা-বাবা আমার মা-বাবা? এর সহজ উত্তর হল, বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে ডিএনএ পরীক্ষা দ্বারা সব কিছু যাচাই করা সম্ভব।