আমি যে কেউ হতে পারি, তবে আমার মতামত বা বক্তব্যের মূল্য কোনো ব্যক্তির পদবি বা পরিচয় নয়, বরং তার যুক্তির গভীরতা ও যৌক্তিকতায়। এক্ষেত্রে, গবেষক উইল জার্ভেইয়ের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং চিন্তানীয়। ২০১১ সালে, জার্ভেই একটি গবেষণায় দেখান যে, সাধারণ জনগণ বেশিরভাগ সময়ে নাস্তিকদেরকে অসৎ মনে করে। কিন্তু তিনি শুধু এখানেই থামেননি, বরং তিনি আরো বিস্তারিত গবেষণা করেন যেখানে ইন্সেস্ট এবং পশুকামিতা যেমন বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে নাস্তিক ও ধার্মিকদের মধ্যে তুলনা করা হয়। এসব জরিপে মানুষ বেশিরভাগ সময়ে নাস্তিকদের নেগেটিভভাবে দেখে, যা জার্ভেই বলেন যে এটি আমাদের সমাজের দোষ। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, আমাদের সমাজের একটি গভীর বিশ্বাস রয়েছে যে, ঈশ্বর ছাড়া কেউ ভালো হতে পারে না।
জার্ভেই এবং তাঁর গবেষণাটির ফাণ্ডিংয়ের পিছনে জন টেম্পলেটন ফাউন্ডেশন রয়েছে, যা নিজে বিতর্কিত। এই ফাউন্ডেশন বিভিন্ন রক্ষণশীল এবং ধর্মনির্ভর গবেষণার জন্য পরিচিত, যার বিরুদ্ধে বিজ্ঞানী ও দার্শনিকগণ অভিযোগ তুলেছেন। এর পাশাপাশি, একটি আলাদা গবেষণায়, বিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্স সম্পর্কে নেগেটিভ মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রেও এই ফাউন্ডেশনের নাম উঠে আসে। এই গবেষণা দেখায় যে, ডকিন্স সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নেগেটিভ মতামত রয়েছে, যদিও এই নেগেটিভ মতামতের পরিমাণ সামান্য হলেও তা অতিরঞ্জিত করা হয়েছে।
সমগ্রভাবে, এই ধরনের গবেষণা এবং ফাউন্ডেশন দ্বারা অর্থায়ন করা প্রকল্পগুলি আমাদের সমাজে বিশ্বাস ও নাস্তিক্যের ধারণা সম্পর্কে জটিল এবং বহুমুখী আলোচনার দিকনির্দেশনা দেয়, যা আমাদের চিন্তা-ভাবনায় প্রসার ঘটায় এবং এই বিষয়গুলিকে আরও গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করে।