ওয়াজের মোল্লাদের প্রতি সাধারণ মুসলিমদের অন্ধ বিশ্বাস

একমাত্র ওয়াজ মাহফি লই একটা জায়গা যে খানে মি থ্যা কথা বলে ও টাকা ইনকাম করা যায় । অনে ক সুন্দর করে গুছি য়ে মি থ্যা কথা গুলা বলা হয় । এক বক্তা হুমায়ুন আহমে দকে নি য়ে মিথ্যাচার করলেন আর হাজার হাজার মানষু বসে বসে সেটা শুনলো,  কেউ প্রতিবাদও করলো না । বক্তা নিজে ও জানে সব মিথ্যা বলতেছে । এরা ওয়াজে আসার আগে বাসায় অনে কবার প্র্যাকটিস করে আসে । এতোগুলা লোকের সামনে মিথ্যা বলাও কিন্তু একটা স্কিল । তাছাড়া ওয়াজে বক্তারা এটা বুঝেই বক্তব্য শুরু করে যে , আমার সামনে একদল ধর্মান্ধ আর বক্সুদটাইপ লোক বসে আছে , আমি যা বলবো সব তারা খাবে । আর এই সুযোগটাই তারা কাজে লাগায় । কারণ মোল্লারে জানে যে, সাধারণ মানুষদের ভিতরে খুব একটা ধর্মীয় জ্ঞান না নাই । জন্মগতভাবে বাপ-দাদার সম্পত্তির মত করেই তারাও এই ধর্মটাকে যুগের পর যুগ বংশ পরম্পরায় ধারন করে আসছে । ইসলাম ধর্মে যাচাই করার সুযোগ দেয়া হয় না । সত্যমিথ্যা যাচাই করার সুযোগ দেয়া হয় । মুহাম্মদ যা বলেছে, কুরআন যা বলেছে সেটাই সঠিক । সেটা না মানলে আপনাকে কাফের নাস্তিকের ট্যাগ লাগায় দেয়া হবে । 

ওয়াজের বক্তাদের এখন আর আমি দোষ দেই না । যেখানে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানষু সব কাজ কর্ম ফালাইয়া বসে বসে মি থ্যা কথা শুনে সে খানে একজনকে দোষারোপ করাটা অযৌক্তি কই মনে হয় । 

শ্রোতারা শীতের মাঝে নিচে বসে থাকে আর উপরে স্টেজে নরম চেয়ারে র উপর বসে থাকে ন হুজরু । কেউ কেউ গরম চা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আবার কেউ কেউ হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে । ঠিক এই রকম একটা সিচুয়েশনে ওয়াজ মাহফিলে সহজ সরল মানষেুষের সামনে বক্তব্য দিয়ে যুক্তি বাদী খেতাব পাওয়া লোকরা কোন টকশোতে বা লাইভ শোতে একটা যৌক্তিক কথা বলার ক্ষমতা রাখেন না । 

হেফাজতে ইসলাম নাম দিয়ে পুরো দেশের ইসলামকে হেফাজতের দায়িত্ব কওমী মোল্লারাই  নিয়ে গছে । দেশে কিন্তু কওমী আদর্শের বাইরে ও অন্য মতে র ইসলামিক অনেক আলেম রয়েছেন । যেমন, আলিয়া মতাদর্শের লোকেরা কিন্তু ইসলাম হেফাজত করতে হেফাজতে ইসলাম সংগঠনে কোন দায়িত্ব পায় না ।  সংখ্যায় কম হওয়ায় নামের আগে মাওলানা, মফুতি টাইটেল থাকা সত্ত্বেও অনেক আলেমই হেফাজতে ইসলামের স্থায়ী কমিটিতে স্থান করে নিতে পারেন না । কারণ একটাই যে , ইসলাম ধর্মকে হেফাজত করতে হলে আপনাকে কওমী আদর্শের মতাদর্শে থাকতে হবে ।

ধর্ম একটা ব্যক্তিগত আবেগ । আর এই আবেগকে পুজিঁ করে সেটাকে কাজে লাগাইতেছে একমাত্র কওমী মাদ্রাসার আলেমরাই । বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুরোদেশের  মুসলিম একটা রাজনৈতিক দলের অধীনে চলে যাচ্ছে । যে দলটির নাম হেফাজতে ইসলাম । 

দেশের সকল মসুলিমদের উচিত ধর্মের নামে অসভ্যতা প্র্যাকটিস বন্ধ করা নয়তো সভ্যদেশে বাংলাদেশের মসুলিমদে পরিচয়টা আর শান্তিতে থাকবে না ।