এই বিশ্বায়নের যুগে এখন যদি ১৪০০ বছরের পুরনো সেই রূপকথার গল্পকে বিশ্বাস করে জীবনধারণের একমাত্র অবলম্বন করে বেঁচে থাকতে হয় তাহলে এই লজ্জা কোথায় লুকাই?ছট বেলা থেকে জেনে এসেছে প্রকৃতির দ্বাকে সারা দিতে আমরা টয়লেট যাই। সেখানেই যাবতীয় কাজ সারি। কিন্তু শয়তান যেখানে সেখানে মূত্র বিসর্জন করে হাদিস না পড়লে সেঁতা জানা হত না। শুধু তাই না মানুষের কানের মধ্যে ,যদি তাই হয় তাহলে আমরা কেন অনুভব করতে পারি না যে শয়তান কানের মধ্যে পেশাব করে দিচ্ছে?অথবা কোন দুর্গন্ধ পাই না কেন?কানের মধ্যে কানের ময়লা ছাড়া তো আর কিছুই থাকে না। আর কানের ময়লা থাকে কানের পর্দাকে সুরক্ষা করার জন্য তাই না?কিন্তু হাদিস কি বলে?
শয়তান মানুষের কানে পেশাব করে
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [1144]
অধ্যায়ঃ ১৯/ তাহাজ্জুদ (كتاب التهجد)
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ১৯/১৩. সলাত আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়লে তার কানে শয়তান পেশাব করে দেয়।
১১৪৪. ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু মাস‘ঊদ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে এক ব্যক্তির ব্যাপারে আলোচনা করা হল- সকাল বেলা পর্যন- সে ঘুমিয়েই কাটিয়েছে,সালাতের জন্য জাগ্রত হয়নি, তখন তিনি (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ইরশাদ করলেনঃ শয়তান তার কানে পেশাব করে দিয়েছে। (৩২৭০; মুসলিম ৬/২৮,হাঃ ৭৭৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ [1221]
অধ্যায়ঃ পর্ব-৪ঃ সলাত (كتاب الصلاة)
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৩৩. প্রথম অনুচ্ছেদ – ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান
১২২১-[৩] ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে এক লোক সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। তাঁকে বলা হলো, লোকটি সকাল পর্যন্ত একটানা ঘুমিয়ে থাকে,সলাতের জন্যে উঠে না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, এ লোকের কানে অথবা তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তার দু’কানে শায়ত্বন (শয়তান) পেশাব করে দিয়েছে। (বুখারী, মুসলিম)
সহীহ : বুখারী ৩২৭০, মুসলিম ৭৭৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
■জ্বীনের খাদ্য হাড্ডি এবং গোবর
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [3860]
অধ্যায়ঃ ৬৩/ আনসারগণ [রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুম]-এর মর্যাদা (كتاب مناقب الأنصار)
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৬৩/৩২. জ্বিনদের উল্লেখ।
৩৮৬০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উযু ও ইস্তিন্জার ব্যবহারের জন্য পানি ভর্তি একটি পাত্র নিয়ে পিছনে পিছনে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ তিনি তাকিয়ে বললেন, কে? আমি বললাম, আমি আবূ হুরাইরাহ। তিনি বললেন, আমাকে কয়েকটি পাথর তালাশ করে দাও। আমি তা দিয়ে ইস্তিন্জা করব। [১] তবে, হাড় এবং গোবর আনবে না। আমি আমার কাপড়ের কিনারায় কয়েকটি পাথর এনে তাঁর কাছে রেখে দিলাম এবং আমি সেখান থেকে কিছুটা দূরে গেলাম। তিনি যখন ইস্তিন্জা হতে বেরোলেন, তখন আমি এগিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হাড় ও গোবর এর ব্যাপার কী? তিনি বললেন, এগুলো জ্বিনের খাবার। আমার কাছে নাসীবীন [২] নামের জায়গা হতে জ্বিনের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা ভাল জ্বিন ছিল। তারা আমার কাছে খাদ্যদ্রব্যের আবেদন জানাল। তখন আমি আল্লাহর নিকট দু‘আ করলাম যে, যখন কোন হাড্ডি বা গোবর তারা লাভ করে তখন তারা যেন তাতে খাদ্য পায়। [৩] (১৫৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
অতয়েব জিন যা চোখে দেখলাম না তাড়া হাড্ডি আর গোবর খেয়ে বেঁচে থাকে। মানে পশু পাখির উচ্ছিষ্ট। আচ্ছা এত কিছু খাবারের নাম থাকতে হাড্ডি বা গোবরকেই কেন বেঁচে নিত্যে হল?জিনের আবার প্রতিনিধি দল ও থাকে আবার ভালো জিন অথবা খারাপ জিন দুই থাকে। আমরা যেখানে আজকাল স্মার্ট ফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার তর জোরে নিজেদেরকে সবসময় ব্যাস্ত রাখি অন্যদের ক্যামন আছ বলার সুযোগ্যতা পাই না সেখানে এসকল ভিত্তিহীন কিতাবি আকাশকুসুম চিনটা ভাবনা দিয়ে কি আমাদের মতো তরুণদের বুঝ দেয়া আদৌ কি সম্ভব?আর এসকল বিষয় যা চোখেই দেখলাম না সেগুলো আদৌ আছে কি না তা বিশ্বাস করি কি করে?