রক্ষক যখন ভক্ষকের রুপ নেয় তখন সাধারণ মানুষের কাছে কে রক্ষক আর কে ভক্ষক সেটি চিনহিত করা খুব কঠিন হয়ে যায়।এই যেমন ধরুন আমাদের চোখে আপাত দৃষ্টিতে যে মানুষ গুলোকে আমরা সব থেকে নিরাপদ মনে করে থাকি,অনেক সময় তারাই আমাদের জন্য সব থেকে অনিরাপদ এবং হুমকি সরুপ হয়ে দাড়ায়।
আমাদের দেশের অনেক ধর্মপ্রান বাবা মায়েরা চান যে তাদের সন্তানেরা ধর্মীয় শিক্ষা দিক্ষায় বড় হউক। আর এই মহত উদ্দেশ্য নিয়ে তারা তাদের কোমলমতি শিশুদেরকে বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা মাদ্রাসা গুলোতে ভর্তি করে। নিঃসন্দেহে এটি বাবা মায়ের একটি মহত উদ্দেশ্য যে সন্তানেরা ধর্মীয় শিক্ষা দিক্ষায় বড় হবে এবং তাদের ইহকাল পরকাল সুন্দর হবে। পরকালের বিষয়টি সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানে তবে এই মাদ্রাসা পড়ুয়া কোমলপ্রাণ শিক্ষার্থীদের ইহকাল যে খুব একটা ভালো যায় না, সেটি আমরা দৈনিক পত্রপত্রিকা গুলো খুললেই দেখতে পাই। পত্রপত্রিকা সংবাদের মাধ্যমে কি দেখতে পাই আমরা?আজ অমুক কোনো মাদ্রাসাতে শিক্ষকের দ্বারা মাদ্রাসা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, শিক্ষকের অমানবিক নির্যাতনের ভয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে নিখোঁজ হয়েছে মাদ্রাসা শিশু, শিক্ষকের প্রহারে মৃত্যু হয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর,মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী,শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের শিকার মাদ্রাসা পড়ুয়া কিশোর,বই দেয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষন ইত্যাদি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাদ্রাসা শিক্ষক দ্বার শিক্ষার্থীদের শারীরিক এবং যৌনভাবে নির্যাতনের এমন হাজারো ঘটনা রয়েছে এবং এর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
সমাজের এইসমস্ত মামসিক বিকারগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য সবথেকে অনিরাপদ প্রতিষ্ঠানে পরিনত হচ্ছে। এছাড়া মাদ্রাসা পড়ুয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়াতে বাবা মায়েরাও অনেক সময় বাধ্য হয় সন্তানের উপর এসব কঠোরতা মেনে নিতে।
তাই সরকারিভাবে সঠিক নীতিমালা প্রয়োগ এবং কঠোর তদারকির মাধ্যমে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী করে তোলা আবশ্যিক।