হাদিসে আছে যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে শারীরিক মিলনের জন্য ডাকে আর স্ত্রী যদি স্বামীর ডাকে সাড়া না দেয় এবং স্বামী অসন্তুষ্ট হয় তাহলেআকাশের সমস্ত রহমতের ফেরেশতারা সেই স্ত্রীর উপর সকাল পর্যন্ত অভিসম্পাত দিতে থাকে ।
এই হাদিসকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশের অনেক মুফতি ও আলেম ওলামারা বিভিন্ন ফতোয়া দিয়ে থাকে। যেমন, স্ত্রী যখন যে অবস্থায় থাকুক নাকেন, স্বামী শারীরিক মিলনের জন্য ডাকলেই সব ফেলে স্বামীর চাহিদা পুরন করতে হবে।এখন স্ত্রী যদি অসুস্থ হয় তাহলেও ফতোয়া অনুযায়ী স্ত্রীস্বামীর চাহিদা পুরনে বাধ্য। কিন্তু এটা কি স্ত্রীর প্রতি জুলুম নয়? আর ইসলাম কি কারো প্রতি জুলুম করতে বলে?কখনই না।
আল্লাহ বলেছেন, “ স্বামী -স্ত্রী একে অপরের পোশাক স্বরুপ”।ইসলামে একজন স্ত্রীর উপর স্বামীর যতটুকু অধিকার রয়েছে ঠিক একজন স্বামীরপ্রতি স্ত্রীরও ততটুকু অধিকার রয়েছে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এটাই যে আমাদের পুরুষ শ্বাসিত সমাজে শুধু স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অধিকার নিয়েইকথা বলা হয় কখনো স্বামীর উপর স্ত্রীর কতটুকু অধিকার রয়েছে সে ব্যাপারে কিছু বলা হয় না।
আমাদের সমাজের অধিকাংশ পুরুষ ই জানে না তার উপর তার স্ত্রীর কতটুকু অধিকার রয়েছে। কারন ওয়াজ, মাহফিল গুলোতে কখনো এব্যাপারে আলোচনাই করা হয় না।ওয়াজ মাহফিল গুলোতে কখনো আলোচনা করা হয় না যে একজন স্বামী যদি তার স্ত্রীর যৌবিক চাহিদা পুরনেঅক্ষম হয় বা স্ত্রী যদি স্বামীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয় সেক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে?
ওয়াজ, মাহফিল গুলোর আলোচ্য বিষয় হচ্ছে
স্ত্রী যদি স্বামীর ডাকে বিছানায় যেতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে সে স্ত্রী জাহান্নামে যাবে। আর এই কারনে পুরুষ জাতি তার যৌবিক চাহিদা মেটাতেস্ত্রীর সাথে হিংস্র পশুর ন্যায় আচরণ করতে দ্বিধা বোধ করে না।
কিন্তু ইসলাম কখনোই এটা সমর্থন করে না।কারন হাদিসে আরো আছে “সেই পুরুষ ই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম”। অর্থাৎ একজন পুরুষকেজান্নাতে যেতে হলে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে হবে।তাহলে একজন পুরুষ কিভাবে উত্তম হবে যদি সে তার যৌবিক অধিকারের নামে স্ত্রীকে রেইপকরে?
আশ্চর্যজনকভাবে আমাদের দেশের পুরুষ শ্বাসিত সমাজ কখনোই উক্ত হাদিসটিকে গুরুত্ব দেয় না।কিন্তু আপনি যদি একজন প্রকৃত মুসলিম হোনতাহলে আপনাকে সব সমান গুরুত্ব দিয়ে হাদিসের সঠিক অর্থ বুঝার চেষ্টা করতে হবে।শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে কোন হাদিসকে ব্যবহার করাপ্রকৃত মুসলিমের কাজ হতে পারে না।