আমি যাদেরকে চিনি যারা কোরআন হাদিস নিয়ে কথা বলে তাদেরকে দেখলে মনে হয় তারা এখনো ১৪০০ বছর আগের সময়ে পড়ে আছে। তারাআধুনিক সময়ের মানুষদের মত নয়।তারা এমনভাবে কথা বলে যেনো তারা কোনো ভিন্ন গ্রহের মানুষ, যাদের সাথে আমার মত কম ইসলামিকজ্ঞান বা কম ধার্মিক ব্যাক্তিদের কোনো সম্পর্ক নেই।
তাদের ধর্মীয় আলোচনা শুনলে মনে হয় যে এটি এই সময়ের জন্য নয়।এটি একটি পুরাতনকিছু,প্রাচীন কিছু মানুষের জন্য। এই ধর্ম পালন করে এই যুগে বেচে থাকা সম্ভব নয়। এধরণের লোকদের বলতে শোনা যায় যে ইসলাম অনেক কঠিন, কুরআন অনেক কঠিন।এতে যে নিয়ম কানুন আছে তা পালন করা সহজ না।তদের দেখানো নিয়ম অনুযায়ী ধর্ম পালন করা আমার মতোসাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় আর যদি পালন করতে চাই তাহলে আমাদেরকে হতে হবে কট্টরপন্থী। সাধারণ কোনো মানুষ এভাবে ইসলাম ধর্মপালন করতে পারবে না।
এধরনের কট্টরপন্থী ধার্মিক ব্যাক্তিরা দেখতে প্রচন্ড রাগী ও কঠোর হয়।এধরনের কট্টরপন্থী ধার্মিক লোকেরা কোনোননমুসলিম বা সাধারণ মুসলিমদের দেখলেই বলে এটা করো না তাহলে তুমি জাহান্নামে যাবে, ওটা করো না তাহলে তুমি জাহান্নামে যাবে। যদিতাদেরকে প্রশ্ন করা হয় কেনো?তাহলে তারা বলে তুমি অবিশ্বাসি হয়ে গেছো, তোমার মনে ইসলাম নিয়ে প্রশ্ন এসেছে মানে তোমার ঈমান নেই। আপনি যদি প্রশ্ন করেন যে পৃথিবীতে এত ধর্ম আছে তার মধ্যে আমরা ইসলাম ধর্মই কেনো পালন করবো?
তারা আপনাকে বলবে আস্তগফিরুল্লাহ,তুমি এখনই তওবা করো, ওযু করো।শয়তান তোমাকে দিয়ে এসব বলাচ্ছে, কিন্তু তওবা বা ওযু করার পরেও আপনার একই প্রশ্ন থেকেযাবে। এরপর আপনার মনে হবে তাদের কাছে আপনার প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। তারা চায় আপনি প্রাচীন মানুষদের মত কোনো যাচাই করাছাড়াই তাদের কথা বিশ্বাস করে নেন, তারা চায় আপনি ২০২৩ এ নয় ১৫২৩ এ বাস করুন।তারা আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে চায় না।তারা মনেকরে আমাদের প্রশ্নগুলো শয়তানি প্রশ্ন।
আর এসব কারনই যথেষ্ট একজন সাধারণ মুসলিমকে ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্য। কেউ যদিএসব কারনে ইসলাম থেকে দূরে সরে যায় তাহলে সেটা প্রাসঙ্গিক। মূলত এসব কারনেই এ যুগে মুসলিমদের জন্য ইসলাম ধর্ম পালন করা খুব কঠিনহয়ে গেছে।এর থেকে মুসলিম ননমুসলিম সকলেরই ধারনা তৈরি হয় যে ইসলাম ধর্ম এবং কুরআন খুবই কঠোর।এর মধ্যে কোনো উত্তর নেই। এটিশুধু মানুষের জীবন কঠিন করে দিতে পারে।মূলত মানুষ হচ্ছে কঠোর। কোনো ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থ কঠোর নয়।সমাজের কিছু ধর্ম জ্ঞান শূন্য কট্টরপন্থীকঠোর ব্যাক্তিরা ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থকে কঠিন ভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপন করে। তদের কাছে আমাদের প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই।
প্রশ্ন করলে তারাবলে আস্তাগফিরুল্লাহ,মুসলমান এর সন্তান হয়ে কিভাবে ইসলাম নিয়ে প্রশ্ন করো,এগুলো শয়তানি প্রশ্ন।অথচ কুরআন বলে তোমরা তোমাদের প্রশ্নআর সমালোচনা গুলো নিয়ে এসো।অথচ এই কট্টরপন্থী ধার্মিক লোকেরা আমাদের সামনে উপস্থাপন করে,কুরআনকে অন্ধভাবে বিনা যাচাই এবিশ্বাস করো নাহলে তোমাকে আগুনে পুড়তে হবে। তারা আমাদের কাছে কুরআনকে ভুলভাবে প্রেজেন্ট করছে তারা কুরআনের আয়াত গুলোর ভুলব্যাখ্যা ও অপব্যবহার করছে। বর্তমান যুগে কুরআনের অপব্যবহারই বেশি হয়ে আসছে।মাঝে মাঝে মানুষ এমন অপব্যবহার করে যার ফলে বহুনিরপরাধ, নিষ্পাপ মানুষ মারা যায়।
কুরআনের অপব্যবহার দুনিয়ায় রক্তপাত ঘটায়।এই অপব্যবহারের কারনে মানুষ কুরআন থেকে দূরে সরেযাচ্ছে। এমনভাবে কুরআনকে উপস্থাপন করা হচ্ছে যে মুসলিমরাই এখন বলছে ইসলাম আমার আর দরকার নেই।আমি সরে যেতে চাই।আর এরজন্য আমাদের ইসলাম ধর্মের প্রতিনিধিত্ব যারা করে তারাই কিন্তু দায়ী। কোনো নন মুসলিমরা কিন্তু এর জন্য দায়ী নয়।