যৌনতার প্রতি মানুষের আগ্রহ সেই আদিম যুগ থেকে।সাধারন মানুষ যৌন প্রবৃত্তির বলতে বুঝে বিপরিত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ, যখানে একজন পুরুষের নারীর প্রতি আকর্ষণ এবং একজন নারীর পুরুষের প্রতি আকর্ষণ।
কিন্তু আসলে যৌন প্রবৃত্তি তিন প্রকার যথা বিপরিতকামি ( বিপরিত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ), সমমাকি ( সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ) এবং উভয়কামি ( যাদের উভয়লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ আছে)।বিজ্ঞানীরা যৌন প্রবৃত্তির সঠিক কারন জানে না যে কি করনে একজন বাক্তি ভিন্ন যৌনকামি হইয়া থাকে। তবে তারা ধরনা করেন যে জিনগত , হরমোনগত এবং পরিবেশগত করণসমূহের এক জটিল আন্তঃক্রিয়ার ফলে এটি ঘটে থাকে। তবে তাঁরা মনে করে জিন এবং মাতৃগর্ভের পরিবেশ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
বিজ্ঞানীদের মতে মানুষ যেমন তার গায়ের রং নির্দারন করেতে পারে না তেমনি সে তার যৌন আকর্ষণও নির্দারন করতেও তার কোণ হাত নেই এটা প্রাকৃতিক ভাবে ঘটে। আমাদের সমাজে আধিকাংস লোক মনে করে সমকামিতা একটা মানুষিক রোগ। কিন্তু এটা আসলে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং শ্বাস্তকর।ছাড়া এটি কোনো নেতিবাচক মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। সুধু মত্র মানুষই না আনেক প্রানিও সমকামি বা উভয়কমি হইয়া থেকে। হয়তো বা আমাদের সমাজে আনেকে মনে করেন চিকিৎসার দাড়া সমকামিতা ভালো হইয়া যায়।
কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা দিযে এটা প্রমাণ করা যায়নি যে, থেরাপির সাহায্যে যৌনপ্রবৃত্তি পরিবর্তনের বিষয়টি নিরাপদ বা কার্যকর।আসলে একজন বিপরিতকামি মানুষের মতই একজন সমকামি তার সঙ্গীকে ভালবাসে। এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯০ সালে মানসিক রোগের তালিকা থেকে সমকামীতাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে।সমকামিতা আবির্ভাব হয়েছে আনেক আগে। কিন্তু বিভিন্ন মহাদেশে সমপ্রেমের আবির্ভাব হয়েছে বিভিন্ন সময়। আনুমানিক ছয়শো খ্রিস্টপূর্বে চীনে সমকামিতার আবির্ভাব হয়েছিলো।
তাই বাংলাদেশের মানুষের বোঝা উচিত যে সমকামিতা একদম নিরিপদ এবং এটা কোন মানুষিক রোগ না ।