গণ মানুষের প্রাণের নেতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান জনাব হুম্মাম কাদের চৌধুরীর মুক্তির পর আসুন এখন সবাই বজ্র কণ্ঠে আওয়াজ তুলি- এই জালিম, খুনী শেখ হাসিনার গোপন কারাগারের সকল রাজনৈতিক বন্দীদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলী, আজমি, কাসেমি সহ ব্ল্যাক হোলের সমস্ত বন্দীকে অনতিবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হোক।
আগেও বলেছিলাম- দেশের শত শত নিখোঁজ মানুষদের দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে র্যাব ও ডিজিএফআইর কয়েক’শ সেলে। উত্তরা, কচুক্ষেত সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাটির নীচে রয়েছে এসব ব্লাকহোল। এমনকি জেলায় জেলায় পুলিশ ও গোয়েন্দরা গোপন সেলে আটক রেখেছে বহু নিরিহ মানুষকে।
অবৈধভাবে আটকে রাখা এসব ব্যক্তিদের অবলম্বে মুক্তি দাবী করছি। এখনি ছেড়ে দাও। গোপন সেলের গেটগুলা খুলে দাও। জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে ডেকে এনে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হোক।
কি জঘন্য!! কি বর্বর কান্ড!! র্যাব,ডিজিএফআই কর্তৃক অপহরণ,গুম হওয়া মানুষগুলো এখনো হয়ত প্রাণে বেঁচে আছে নির্মম কোন অন্ধকার মাটির নিচের গর্তে।যেখানে সূর্যের আলো কখনো পৌছায় না।শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ছাড়া পাবার পর থেকে এই গুম রহস্য জনগণের সামনে একটু একটু করে পরিষ্কার হতে শুরু করেছে।
দেশের পরতিটি মানুষের কাছে এখন জিজ্ঞাসা ইলিয়াড আলী,চৌধুরী আলম,ব্রেগেডিয়া আযমী,ব্যারিস্টার কাশেমী এরা তাহলে নিজ মাতৃভূমিতে মাটির নিচের কোন অন্ধকার গুহায় আটকে আছে,না আটকে রাখা হয়েছে!!
তাই আমার দেশপ্রেমিক, মুক্তিকামী দেশবাসীকে বলছি, আসুন আমরা একসাথে রাজপথে নামি সরকারী বাহিনী দ্বারা গুম হওয়া প্রতিটি মানুষের অবিলম্বে মুক্তির দাবীতে। অন্যথায়, এই বাংলার ১৭ কোটি মানুষ মাটি খুঁড়ে হলেও বাংলাদেশের ৫৫ হাজার বর্গ মাইলের যেকোনো জায়গা থেকে গুমের শিকার বন্দীদেরকে উদ্ধার করতে পিছপা হবে না।