বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেন সত্যি কথা বলতে না দেয়ের আইন । এই আইন একটা গোষ্ঠীর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, যারা গণমাধ্যমবিরোধী ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী, তারা এই আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো সাংবাদিকদের হয়রানি করা ও ভয়ভী।এবং কিছু ধর্ম ব্যবসায়ি এবং ধর্মা আন্ধ মানুষ আছে যারা এই আইন কে তাঁদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুধু সাইবার অপরাধ দমনে প্রণয়ন করা উচিৎ কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে এই আইন কখনো ব্যবহার হওয়া উচিৎ নয়।
কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার অপরাধীদের চেয়ে সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীরাই বেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন। ডিজিটাল আইনের ২১ ধারার প্রস্তাব অনুযায়ী ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার নামে প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণা চালালে বা মদদ দিলে অনধিক ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
আর ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য ওয়েবসাইট বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে কিছু প্রচার বা প্রকাশ করলে অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।এখন যদি কেউ ধর্মের নামে ব্যবসা এবং ধর্ম্যা আন্ধ নিয়া লেখে আর এটা যদি তাদের অনুভূতিতে আঘাত দেয় তাহলে লেখোকের তো কিছু করার নেয়। আগে ৫৭ ধারায় মামলা হলেই যে গ্রেফতার করার বিধান ছিল, সে বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন যে এখন অপরাধ বিবেচনা করে কোনটি জামিনযোগ্য আর কোনটি অজামিনযোগ্য, তা ভাগ করে দেয়া হয়েছে।
২৮ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করে, তাহলে সর্ব্বোচ ১০ বছরের সাজা। জরিমানা ২০ লাখ টাকা।