৮৭ জন ভয়ঙ্কর জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর নামের তালিকা বিনিময় করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দারা। বাংলাদেশে সফররত ভারতের এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) দিয়েছে ১১ জনের তালিকা। তার মধ্যে ২, ৩, ৫, ৮, ৯ নাম্বারে আসা পাঁচ জনই এরাবিয়ান শেখ বংশেরঃ
২. মাওলানা ইউসুফ শেখ ওরফে বক্কর ওরফে মোহাম্মদ ইউসুফ।
৩. তালহা শেখ।
৫. আমজাদ আলী শেখ ওরফে কাজল।
৮. বুরহান শেখ।
৯. হাবিবুর রহমান শেখ ওরফে শেখ।
বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত মুসলমান মনে-প্রাণে বিশ্বাস এবং জোর গলায় স্বীকার করে তারা বহিরাগত, অর্থাৎ তারা এই বাংলার বাইরে থেকে এসে বাংলাদেশ দখল করেছে। আর এ নিয়ে সেইসব আরব-বাংলাদেশীদের গর্বের সীমা নেই। আবার চোরের মার বড় গলার মত করে বলে, বাংলাদেশ থেকে অবশিষ্ট হিন্দুদের ভারতে তাড়িয়ে দেবে!
ভারতের সাথে এই জঙ্গীদের নামের তালিকা বিনিময়ে বাংলাদেশে সরকারের যে প্রতিনিধি–প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা…তিনিও শেখ বংশের। আমলীগের থেকেই কয়েকদিন আগের ঘোষণা–শেখ মুজিবের পূর্বপুরুষ আরব থেকে এসেছিল। এখানে আরো উল্লেখ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় যে রাজাকারটি সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল সেই রাজাকার গোলাম আযমও এরাবিয়ান শেখ বংশের লোক ছিল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই আরব-বাংলাদেশীদের অবস্থান পুরাই সাপ হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়ার মত।
কোলকাতার গায়ক নচিকেতার জন্ম বাংলাদেশে নয়, তবে উনার পূর্বপ্রজন্মরা বাংলাদেশের। উনি বাপ-দাদার ভিটে দেখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছেন। বাপ-দাদার ভিটায় গিয়ে উনার আবেগে আপ্লুত হওয়ার খবর ছবি সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে। অনলাইনেও এ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হওয়া কিংবা চলে যেতে বাধ্য হওয়া হিন্দুদের মনে বাংলাদেশের প্রতি এই যে আবেগ, সেই আবেগ কি আরবের প্রতি আরব-বাংলাদেশী মুসলমানদের মধ্যে কাজ করে যারা মনে করে তাদের পূর্বপ্রজন্ম আরব থেকে এসেছিল? নচিকেতা যে আবেগ নিয়ে পূর্বপ্রজন্মের ভিটেমাটি দেখার জন্য বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন, সেই আবেগ নিয়ে কোনো আরব-বাংলাদেশীর কি আরবে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে?
শিকড়ের সন্ধান করতে বই-পুস্তক ঘাটা লাগে না। সদিচ্ছা থাকলে জাস্ট নিজের ভিতরে ডুব দিয়েই পাওয়া যায় শিকড়ের সন্ধান, চিনে নেয়া যায় আপন-পর।