“তারা কী ভুলে গেছেন শাহবাগে তাদের যখন হেফাজতিরা তাড়া করেছিল তখন তাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাঁচিয়েছিল”
-আমাদের সৌভাগ্য জাহানারা ইমাম এখন বেঁচে নেই। নইলে আজ তাকেও দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে বলা হতো। ৯১ সালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ঘাড়ে পা দিয়ে ৯৬ সালে মসনদে বসেছিলেন। ২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চের ঘাড়ে পা দিয়ে ফের মসনদ পাকা করলেন। তারপর যখনই মনে হলো জনগণের ভিন্ন একটা প্রতিবাদের প্লাটফর্ম খাড়া হয়ে যাচ্ছে তখনই সেটা গাজাখোরদের আস্তানা হয়ে গেলো। জাহানারা ইমামের ডাকে যে সমুদ্র গর্জন জেগে উঠত নিশ্চিত করেই সেটা তাকে আতংকিত করত। অপমান অবজ্ঞার হাত থেকে ‘আম্মা’ মারা গিয়ে যে রেহাই পেয়েছেন সেটাই এখন স্বস্তি…। সুফিয়া কামাল, নিলিমা ইব্রাহিম… আপনারা মরে গিয়ে বেঁচে গেছেন…।
“ভাস্কর্য সরানোর ফলে অনেকে ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে ধর্ম গেল গেল বলে চিৎকার করছেন। আন্দোলন করছেন। কেউ কেউ ভাস্কর্য সরালে মসজিদও সরাতে হবে এমন কথাও বলছেন”
-সুলতানা কামালের সামনের দিনগুলো যে কতটা খারাপ যাবে বুঝাই যাচ্ছে!
“জাতীয় ঈদগাহ সংলগ্ন সুপ্রিম কোর্টের যে স্থানটিতে গ্রিক গড অব থেমিসের আদলের ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল সেই ভাস্কর্যের গায়ে শাড়ি পড়ানো হলো কেন? ভাস্কর্য স্থাপনের আগে বাইরে থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশপথে দেশের মানচিত্র দেখা যেতো। ওইটি স্থাপনের পর সেটি ঢেকে যায়। তাছাড়া জাতীয় ঈদগাহের সামনে নামাজের সময় এটি দেখা গেলে দৃষ্টিকটু লাগতো। তাই ওটি সরানো হয়েছে”
-৯৬ সালে কে যেন শাড়ির সঙ্গে মাথায় একটা কালা পট্টি বাধছিল? সেই মহিয়ষী নারীই সুপ্রিমকোর্ট থেকে ‘মূর্তি’ উচ্ছেদ করে মুসলমানদের ঈমান আকিদা রক্ষা করেছেন। বাংলায় প্রথম কুরআন অনুবাদ করেছিলেন গিরিষ চন্দ্র। (ছিঃ ছিঃ এ লজ্জ্ব্বায় বাঁচি না!) এবারও কি বাংলায় প্রথম (মূর্তি) ভাস্কর্য অপসারণের ক্রেডিট দিবেন কোন অমুসলিম বিচারপতিকে?
“কওমি মাদরাসায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। এতদিন তাদের শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা না করে আমি থাকতে পারি না। তাই তাদের কাছে ডেকে কথা বলেছি, ছয়টি শিক্ষাবোর্ড গঠন করে দিয়েছি। দেশকে শতভাগ শিক্ষিত করতে হলে তাদের বাদ দেয়া সম্ভব না”
-তিনি নিজের মুখেই এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। বেহুদা নুরুল ইসলাম নাহিদকে এককভাবে দায়ী করাটা যে অন্যায্য এরপর আশা করি সবার কথাটা মনে থাকবে। এদেশে জিহাদের উপর একাডেমিক পড়াশোনাকে সরকারী সনদ দিয়ে জঙ্গি দমনের জাতীয় মশকরাটা কে শুরু করলে নিশ্চয় এরপর কেউ ভুলে যাবেন না…।
“সরকারের প্রতি ভুল ধারণা নিয়ে ওরা জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলালে দেশের কী অবস্থা হবে তা কি কেউ ভেবে দেখেছেন। তারা এখন জঙ্গি দমনে সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছেন। এ উদ্যোগকে যারা সহজভাবে নিতে পারেন না তারা কী চান”
-আর কিছু চাই না! এখন দেশী জঙ্গি দিয়েই মদিনা সনদ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। দেশী জঙ্গিদের সরকারী তত্ত্বাবধানে একশত ভাগ দেশী ফর্মূলাতে ইসলাম কায়েম হবে ইনশাল্লাহ। বিদেশী জঙ্গি বর্জন করুন। সিরিয়া গমন করে দেশের টাকা বিদেশে না ফেলে হেফাজতে দান করুন…।
“ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মকে অস্বীকার করা নয়। শূকরের মাংস, মদ ও গাঁজা খেয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যারা বলেন, তারা পারভারটেড”।
-৭১ সালে প্রবাসী সরকারও ইজরাইল সরকারের কোন সহায়তা নিতে অস্বীকার করেছিল তাদের তীব্র ইহুদী ঘৃণার কারণে। তাই বলে কি ৭২ সালের সাংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা স্থান পায়নি? শেখো ‘মুসলমান সেক্যুলারবাদীরা’! হিন্দু-ইহুদী-খ্রিস্টান ঘৃণা করেও কি সুন্দর ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া যায়! শুকোরের মাংস খাওয়া এদেশে আইন করে মদ-গাজার মতই নিষিদ্ধ করার সময় এসে গেছে মনে হচ্ছে…
“তারা আগে মারামারি ও মল্লযুদ্ধ করে শক্তির পরীক্ষা করুক। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও এ ব্যাপারে দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে কিছু করতে মানা করেছেন। দু’পক্ষের শক্তির পরীক্ষায় যারা আহত হবেন তাদের চিকিৎসা দেবেন”
-খালেদা জিয়া বলেছিলেন একমাত্র শিশু আর পাগলই নিরপেক্ষ হয়। খালেদা জিয়া বলেছেন বলেই সত্য মিথ্যা হয়ে যাবে না। আমরাও তাই জানি তিনি কোন পক্ষের। হেফাজত ইসলাম ঘোষণা দিয়েছে ‘ইসলাম বিরোধীদের বিরুদ্ধে ঈদের পর আন্দোলন শুরু হবে। এরপর শফী যখন সেক্যুলার আর নাস্তিকদের হত্যা করা ওয়াজিব বলে হুংকার দিবে, তার লেলিয়ে দেয়া বাহিনী যাকে তাকে হত্যার ফতোয়া দিবে- সেই দায়টা নিশ্চয় তিনি নিবেন?
“বাস্তবতা বিবেচনা না করে অনেক মন্ত্রী তার বিরুদ্ধে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার পাশে বসে থাকা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ছাড়াও রাশেদ খান মেনন ও আসাদুজ্জামান নূরের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কথা বলার আগে তারা পদত্যাগ করতে পারতেন”।
-‘গণতন্ত্রের মানস কন্যার’ বিরুদ্ধে কথা বলাটাই গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলা। ঠিক আছে?…