আমি মনে করি, যেই দেশে আল্লা- নবীরে- ধর্মরে ক্রিটিসাইজ করলে কল্লা ফেলার দাবী তোলা হয়, বাড়িতে ঢিল শুধু না – বোমও পড়ে- সেই দেশের কেউ যখন এইসব করে- তখন দেশের এই বর্বর মানুষদের বিরুদ্ধে কথা বলা বেশি দরকার … একই সাথে এইটা মনে করি- একজন মানুষ শ্রেফ ঘৃণার প্রকাশের জায়গা থেকেই- কোরআনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে পারে- কোরআনকে পুত পবিত্র ঐশীগ্রন্থ হিসেবে মানতে বাধ্য করার কিংবা নবীকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে শ্রদ্ধা করতে বাধ্য করার তীব্র আগ্রাসী চল থেকেও কেউ রিয়াকশনে মূত্রত্যাগ করতে চাইতে পারে- পায়ের উপর অবহেলায় কোরআন রেখে সিএনএনে সাক্ষাৎকার দিয়া কিংবা কোরআনের উপর কাপ পিরিচ রাইখা ছবি প্রকাশ কইরা ধর্মান্ধ পাবলিকের বিশ্বাসের মূলে আঘাত দেয়ার জায়গা থেকেও কেউ এইসব করতে পারে …
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী এক মাত্র ইসলামই মানুষের ধর্ম । একমাত্র ইসলামই সত্য ধর্ম । বাকি সকল ধর্ম মিথ্যা, অধর্ম । গ্রামের একজন নিরক্ষর মানুষ যদি ফরেহেজগার হয় তাহলে সেই ব্যক্তি হলো মহাজ্ঞানী এবং আল্লাহর নিকট সম্মানিত ব্যক্তি ইসলামের পরিভাষায়। ইমানদার মুসলমানরা ছাড়া বাকি সবাই গন্ডমুর্খ । পৃথিবীর সকল শেরা মেধাবি লোক যারা সারা জীবন পড়া শোনা করে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণে নিজেদের জীবন উৎস্বর্গ করেছেন, করছেন । তাদেরই সৃষ্টি প্রযুক্তি এবং ওষুধ ব্যবহার করে তাদেরকেই বলা হয় তারা সবাই মুর্খ। প্রথিবীর আর কোন ধর্মের মানুষ নিজের ধর্মকে প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বিচারে নিরীহ নারী শিশু হত্যা করে না । জান্নাতের হুরের আশায় নিজের গায়ে আত্মঘাতী বোমা বেঁধে যে কোন নিরীহ মানুষের ভিড়ে বিস্ফোরণ ঘটায় না, ট্রাক তুলে দিয়ে মুহুর্তেই শত শত নিরীহ মানুষের জীবন কেড়ে নেয় না ।পৃথিবীর আর কোন ধর্মের মানুষ এই ভেবে দিবা স্বপ্ন দেখে না যে, পৃথিবীর সকল মানুষ মুসলমান হবে । আর তা না হলে জোর করে বাঁধ্য করতে হবে । আল্লাহর দ্বিন প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ করো যত ক্ষণ দেহে প্রাণ আছে । এর চেয়ে নিকৃষ্ট ধর্ম মানুষের জন্য আর কি হতে পারে?