বোরখা নিয়ে কথা উঠলেই এক শ্রেণীর মুসলমান এটিকে ইসলাম বিদ্বেষ বলে লাফ দিয়ে ওথেন। কেন ওঠেন আমি জানিনা। এটি আসলে অনুধাবনযোগ্যও নয় আমার জন্য। কোরান শরীফে অবশ্য সূরা আন-নূরের ৩১ নাম্বার আয়াতে মেয়েদের বোরখা তথা নিজেদের আবৃত করে রাখার ব্যাপারে বিরাট এক বয়ান রয়েছে। এই বয়ানে কিন্তু সেই রূপকথার আল্লাহ মেয়েদের ব্যাপারেই তার সব আবৃতের কথা বলে গেছেন। পুরুষদের ব্যাপারে কিছুই বলেন নি। এই আয়াতের নানাবিধ ডাইমেনশন আছে। ইনফ্যাক্ট এটি নিয়ে আমারও প্রশ্নও রয়েছে।
এই সূরাতে একটা স্থানে বলা রয়েছে “তবে তাদের যে অংশ এমনিতেই খোলা থাকে সেটি তারা দেখাতে পারবে”
এই বাক্যের মানে কি? এই বাক্য দিয়ে সেই রুপকথার অলীক আল্লাহ কি বুঝাতে চেয়েছেন এই প্রশ্ন করে আজ পর্যন্ত সদুত্তর পাইনি কারো কাছ থেকে। মেয়েদের কোন অংশ এমনিতেই খোলা থাকে? সেই অংশটা কি এই কথা উক্ত সুরাতে লেখা নেই। এই থেকেই বুঝতে পারা যায় যে যে প্র্যাক্টিস মোহাম্মদের সময় থেকে মেয়েদের ক্ষেত্রে চলে আসছিলো সেটাই মোহাম্মদ আল্লাহর নামে দিয়ে আস্তে করে কোরান শরীফে ঢুকিয়ে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে।
ধার্মিক পুরুষগুলো বোরখা জিনিসটাকে খুব পছন্দ করে। এত পছন্দ, তারপরও তারা নিজেরা কেন বোরখা পরছে না, বুঝিনা। শুধু চুরি ডাকাতি করতে গেলে, বা কাউকে খুন করতে গেলেই পরছে। সামাজিক জীবনেও তো বোরখাটা পরতে পারে। তাদের ঘন কালো চুলেও তো সেক্স অ্যাপিল থিকথিক করছে। ওই চুল দেখে কোন মেয়েই না উত্তেজিত হয়! তারপর গোটা একটা শরীর তো আছেই। সুঠাম বাহু, বুক, বুকের লোম, উরু ! উরু সন্ধিতে তো দৃষ্টি যেতে বাধ্য। পুরুষরা বোরখা না পরলে মেয়েদের হরমোন মেয়েরা কী করে সামাল দেবে! এ তো ছেলেখেলা নয়। নিজেরা পরছে না, অথচ এটি মেয়েদের শরীরে চাপায় তারা, গায়ের জোরে, এবং আরও নানা কিছুর জোরে।
যা এখন ঘটছে, তা-ই যে চিরকাল ঘটবে তা তো নয়। সমাজের কত কিছু রাতারাতি উল্টে যায়। এমন হলে কেমন হয় যে, মেয়েরা এতকাল বোরখার যে অভিজ্ঞতাটা অর্জন করেছে, সেটা পুরুষরা এখন অর্জন করুক!
কিন্তু সব শেষে কিন্তু উপরের আলোচু সূরা থেকে প্রশ্ন এসেই যায় যে, এই যে কোরানের আলোকে উক্ত সূরা কিংবা তার বানী সেটি দেখে কি আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে এই বোরখা পদ্ধতি আসলে মোহাম্মদের নিজেরই একটা ইচ্ছার বহিঃ প্রকাশ? যেটি সে আল্লাহ নামের এক অবাস্তব মিথ দিয়ে নিজের ইচ্ছে চরিতার্থ করতে চেয়েছে?