আমাদের শৈশব থেকে আজ অবধি আমরা যে ধর্মটির দ্বারা বাংলাদেশে নির্যাতিত, সেটি হচ্ছে ইসলাম ধর্ম। হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করার কারনে বাংলাদেশের হিন্দুদের আজন্ম যে ভয়ংকর নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, এটির কোনো কূল বা কিনারা নেই। ফলে এই ধর্মটির প্রতি আমার এক ধরনের বিম্বিষা রয়েছে, রয়েছে নিতে না পারবার অক্ষমতা।
আমি মনে করি বাংলাদেশে ইসলামিস্টরা যে ইসলামের চর্চা করেন সেটি এক কথাতে জঘন্য এবং এক কথাতে ভয়াবহ। যুগের পর যুগ মুসলিম ডোমিনিটেড বাংলাদেশ রাষ্ট্র যে আদর্শের চর্চা করেছে সেটি রীতিমত হিন্দু কিংবা সংখ্যালঘুদের জন্য দূর্বিষহ।
দেশ ভাগের পর থেকে হিন্দুদের বাংলাদেশ ছাড়বার পেছনেও রয়েছে মুসলিম এলিট কিংবা এখানকার বর্ণবাদীদের হুংকার। গত কয়েকটি দশকে সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর যে অত্যাচারগুলো হয়েছে তার পেছনে পড়োক্ষভাবে রয়েছে মুসলমানদের ধর্ম গ্রন্থ কোরান। কেননা এখানেই কাফেরদের হত্যা করবার কথা বলা রয়েছে, এখানেই বিধর্মীদের সাথে অমানবিক হবার দীক্ষা রয়েছে।
আসলে মুসলমানদের নেতা মোহাম্মদ নিজেই ছিলেন একজন নিপীড়ক, একজন নষ্ট ও ভ্রষ্ট শাষক। ফলে যে ধর্মের নেতাই এমন অমানবিক সেখানে আমরা ভিন্ন মতের চর্চা করতে পারব, এটা ভাবাও দূর্বিষহ। ফলে আমরা বার বার এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রে খাবি খেয়েছি, আহত হয়েছি এবং রক্তাক্ত হয়েছি।
ধর্মের দোহাই দিয়ে কত শত মন্দির ভাঙ্গা হয় বাংলাদেশে সেটির ইয়ত্তা নেই। নির্বাচনের সময় এলে, সেটি যে কোনো নির্বাচনই হোক না কেন সেখানেই একটা নিশ্চিত নোংরামির ঘটনা ঘটে, আর সেটি হচ্ছে হিন্দুদের উপর আক্রমণ ও অত্যাচার। আর মুসলিমরা এই আক্রমনের মূল রসদই পায় আসলে তাদের ধর্মগ্রন্থ আল কোরান থেকে কিংবা আল হাদীস থেকে।
কই বাংলাদেশে তো ইসলামিস্টরা ছাড়া আর অন্য ধর্মের অনুসারীরা কেউ কাউকে আক্রমণ করেনা!! কেন করেনা? একবার কি ভেবে দেখেছেন?
আমি বলব ভেবে দেখুন, ভেবে দেখলেই বুঝবেন মূল গলদ কোথায়?