প্রধানমন্ত্রীর এই বিচক্ষনতায়, মহানুভবতায় চোখে পানি এসে গেছে না?

১। হযরত ওমর (র:) রাতের বেলা ছদ্মবেশে প্রজার দু:খ দেখতে বেড়িয়ে এক ক্ষুধার্থ পরিবারকে দেখে নিজে মাথায় করে আটা পৌছে দিয়েছিল।

২। উত্তর কুরিয়ার এক টিভি এক ডকুমেন্টারিতে দেখেছিলাম- এক দুখি গরিব পরিবার আনন্দে কাঁদতে কাঁদতে বলতেছে, কিভাবে মহামতি মাইটি
কিম জং উন হঠাৎ তাদেরকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে নিজের হাতে ফ্লাট বাড়ি উপহার দিয়েছে।

এ রকম বহু মহানুভবতার গল্প দেখে বা শুনে চোখে পানি এসে পড়ে তাই না? আহা! পানি তো আসবেই, একজন ভাল গোলামের কাজই হচ্ছে মাঝে মাঝে চোখে জল আসার মত সার্কাস তৈরী করা, এমন কি 
রাজার বায়ু ত্যাগেও মহানুভবতা খোজে পেয়ে রাজার মর্জি বুঝে কখনো হাসা, কখনো কেঁদে বুক ভাসিয়ে দেয়া।

আমরা তো আর বেয়াদব জনগনের মতো প্রশ্ন করতে পারিনা – রাজা কেন সর্বস্তরে প্রশাসনিক কাজের দক্ষ জনশক্তি তৈরী করতে পারেনা, যাতে একজন দুজন গরীবের লোক দেখানো সার্কাসের পরিবর্তে এই কাজ গুলো দায়িত্বশীল লোকেরা যাতে যথাযত ভাবে জবাবদিহীতার সাথে সম্পন্ন করতে পারে, না হয় আইন অনুযায়ী যাতে শাস্তি পায়!

প্রশাসনিক ব্যর্থতার এই গুরুত্বর অপরাধ কি রাজার লোক দেখানো একটা সার্কাস দিয়ে ঢাকা যায়?

এখন আজকের একটা নিউজ দেখুন-//ডিএমপি জানায়, সব শ্রেণির ক্রেতা ও হকারদের কথা বিবেচনা করে হলিডে মার্কেট চালুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।//— প্রথম আলো

কি মিয়ারা! প্রধানমন্ত্রীর এই বিচক্ষনতায়, মহানুভবতায় চোখে পানি এসে গেছে না? 
ঢাকা শহরে একজন শেখ হাসিনা কি স্থানীয় জনপ্রতিনীধি কমিশনার, মেয়র,
বা সিটি কর্পোরেশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা যারা সরাসরি এই কাজের রাষ্ট্রীয় দ্বায়িত্বে নিয়োজিত, অথবা 
পুলিশ ইত্যাদি লোকের চেয়ে পাড়া-মহল্লার খালি মাঠ, লোকাল সমস্যা বেশী বুঝে?
থাক এসব প্রশ্ন করা বেয়াদবি। বরং মহনুভব রাণীর পা চাটি চলেন, ইহকাল-পরকাল সবই পাব!

আর কয়েক বছর পরে দেখবেন- শুক্কুইরার বাপের কুষ্ঠকাঠিন্যের যুগান্তকারী সমাধান দিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইতিহাসে আবারও নোবেল পাবার মতো যোগ্যতা অর্জন করে ফেলবে।

বস্তুত্ব
পৃথিবীর একটা স্বৈরাচারও দেখাতে পারবেন না- যাদের মহানুভবতায় গোলামরা অহর্নীশি চোখের জলে ভাসে না!