সূরা ইউনুসঃ
(২)
মানুষের কাছে কি আশ্চর্য লাগছে যে, আমি ওহি পাঠিয়েছি তাদেরই মধ্যে একজনের
কাছে যেন তিনি মানুষকে সতর্ক করেন এবং সুসংবাদ শুনিয়ে দেন
ইমানদারগনকে…..।
উপরোক্ত আয়াতটি পড়লে বোঝা যায় ইহা আল্লাজাতিয় কোন কিছুর বক্তব্য। পরের কিছু আয়াত নিম্নরূপ;
(৩)
নিশ্চয় তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ যিনি তৈরি করেছেন আসমান ও জমিন ছয়দিনে।
অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি কার্য পরিচালনা করেন। কেউ
সুপারিশ করতে পারবে না।তবে তার অনুমতি ছাড়া ইনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা।
অতএব তোমরা তারই এবাদত কর।তোমরা কি কিছুই চিন্তা করোনা?
(৫) তিনিই সেই মহান সত্ত্বা, যিনি বানিয়েছেন সূর্যকে উজ্জল আলোকময়। আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারী রূপে…….।
উপরের ৩ ও ৫ নম্বর আয়াত পড়লে বোঝা যায় যে আয়াত দুটি আল্লাহর বক্তব্য নয়, আল্লাহ ব্যতীত ২য় কোন ব্যক্তি ৩য় কোন পক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলছেন।একই সূরায় এমন দ্বিমুখী বক্তব্য থাকার কারন কি?আল্লা ছয়দিনে আসমান ও জমিনকে সৃষ্টি করে আরশে (সিংহাসন) অধিষ্ঠিত হয়েছেন! তার আগে তিনি কোথায় ছিলেন? তিনি নাকি নিরাকার, অর্থাৎ বায়বীয়।যার কোন আকার নেই, হাত পা কিছুই নেই সে আবার আরশে বসে কিভাবে? উক্ত সূরাটিতে চন্দ্র ও সূর্য নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু চাঁদের যে নিজের কোন আলো নেই সে বিষয়ে কোন তথ্য নেই।
সূরা মাউনঃ
(১)
কোয়াশের আসক্তির কারনে। (২) আসক্তির কারনে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন
সফরের। (৩) অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার। (৪) যিনি তাদের
ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদের নিরাপদ রেখেছেন।
এই
সূরার মূল বক্তব্য কি তার কিছুই স্পষ্ট নয়। এমনকি এক আয়াতের সাথে অন্য
আয়াতের কোন মিল নেই যা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেই প্রতীয়মান হয়।
তবুও যদি ধরে নেই উপরোক্ত সূরাগুলো আল্লা নিজে রচনা করেছেন, সেক্ষেত্রে মারজুক রাসেলের প্রতিভা কি আল্লার চেয়ে কম মনে হয়?