ইজতেমা হচ্ছে ‘জিহাদ মেলা’। বাণিজ্য মেলা, আবাসন মেলা, কম্পিউটার মেলার মত ইজতেমায় উপমহাদেশের বড় বড় জিহাদীরা তাদের তাঁবু (স্টল) খাঁটিয়ে বসে থাকে বাংলাদেশী তরুণ প্রজন্মকে জিহাদ কি এবং কেন করতে হবে তার মাসালা প্রচারের জন্য। ইজতেমা উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের বিভিন্ন মাদ্রাসা, সমজিদ থেকে আলেম-ওলামারা অবাধে আসবে। সৌদি আরবসহ মধ্যপাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে জিহাদীরা ইজতেমায় আসে তাদের মতবাদ প্রচার করতে। গত বছর এরকম একটা দলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল যাদের অরজিনাল দেশ আফগান, এসেছে পাকিস্তান থেকে। বাসে করে কাকরাইল মসজিদ যাচ্ছে।
তাবলিগ জামাতকে দীর্ঘকাল শান্তিপূর্ণ ইসলামের দাওয়াতী দল মনে করা হলেও এটি ভয়ংকর পঁচন ধরা মগজ ধার্মীক মুসলমানের মাথায় দিতে দাওয়াত দিয়ে বেড়ায়। ইজতেমার মুরব্বিরা সরাসরি জিহাদী রিক্রুটিংয়ে জড়িত বলছি না, বলছি তাদের দাওয়াতি ইসলামও একটা ধর্মান্ধ মধ্যযুগীয় প্রজন্ম তৈরি করতে নিয়োজিত। একই সঙ্গে তাদের ইজতেমাকে কাজে লাগিয়ে সশস্ত্র জিহাদীরা তাদের কর্মী সংগ্রহের রুট হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। এরকম একটি ধর্মীয় সম্মেলনকে সফলভাবে অনুষ্ঠিত করতে বাংলাদেশ সরকার তাদের নিষ্ঠা ও দক্ষতার প্রমাণ দিতে প্রত্যেক বছর প্রতিযোগিতা করে। এবারও একই আয়োজন সরকার থেকে। সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী সেবায় নিয়োজিত থাকবে। রেলওয়ে, বাস সার্ভিস দিয়ে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সেবা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী রোজই বলেন, ছেলেমেয়েদের প্রতি নজর রাখুন। তারা যেন জঙ্গিবাদে না জড়ায়।
অথচ সরকারীভাবে এইরকম ইজতেমার মত অনুষ্ঠান করে খাল কেটে কুমির আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ইউরোপ-আমেরিকায় যদগুলো জিহাদী হামলা ঘটেছে সবগুলো ঘটেছে যেসব মুসলিমদের হাতে তাদের প্রত্যেকের জীবন ঘেটে পরে জানা যায় এরা সকলেই হজ করতে গিয়ে জিহাদী মনোভাব নিয়ে ফিরে এসেছিল। হজ হচ্ছে বিশ্বব্যাপী জিহাদ প্রচারের অন্যতম মিলনস্থল। হাজি সাহেবদের বয়ান দ্বারা কাফের মুশরিকদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্ববান জানা হয়। আল কায়দার বড় বড় নেতারা তাদের লেখালেখিতে বলেছেন উনারা সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের মসজিদগুলোতে সাধারণ মুসল্লিদের সামনে বয়ান করত কেন অমুসলিমদের উপর হামলা করে তাদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিতে হবে। কেন মুসলিম দেশগুলোতে প্রচলিত তাগুদি শাসকদের হটিয়ে ইসলামী শাসন কায়েম করতে হবে।… ইজতেমাগুলোতে বয়ান হয় তাঁবুতে তাঁবুতে। এসব জায়গায় কেন ইসলামকে শাসন ক্ষেত্রে বসাতে হবে তা মুসল্লিদের বুঝানো হয়। আর এসব চলে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায়!