ইসলামে কাফের রমনী ধর্ষণ করা জায়েজ

অমুসলিমদের কাছে মাথা হেট হয়ে যায় কোরানের এসকল বর্ণনা শুনে। রীতিমত মুখ দেখাতে লজ্জা বোধ করি। আমরা কত অসহায় যারা ইসলামকে মানতে পারি না এসকল শিক্ষার কারণে। আমরা আজকের যুগের ছেলে মেয়ে এসকল কিছুই মানতে পারি না যা মানবতার বিরুদ্ধে যায়। কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যাবস্থা এসকল বিষয়কে আড়াল করে অবাধে এসকল অনৈতিক নিয়ম মেনে নিয়ে ধর্ম পালন করে। আসলেই কি তাই ?

হতভাগ্য জোসুয়া বয়েল যিনি তালেবানদের হাতে বন্দি হয়েছিলেন ‘কাফের’ হিসেবে এবং সম্প্রতি তিনি ও তার পরিবার মার্কিন-পাক বাহিনীর তৎপরতায় বন্দি শিবির থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি অবর্ণীয় অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন গণমাধ্যমের কাছে। সবচেয়ে মর্মমান্তি হচ্ছে জোসুয়া বয়েলের সামনেই তার স্ত্রীকে তালেবান মুজাহিদরা ধর্ষণ করত। এটি তাকে দিনের পর দিন সহ্য করে যেতে হয়েছে। আল জাজিরাকে জোসুয়া বয়েল বলেছেন তিনি কামনা করতেন জিহাদীরা যেন তাকে হত্যা করে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছর অবর্ণীয় মর্মান্তিক সাজা ভোগ করে অবশেষে মুক্তি মিলেছে তার এবং তার পরিবারের। নিশ্চয় মনে মনে বলছেন এইসব তালেবান জিহাদীরা ইসলামের ধারকাছ দিয়েও যায় না। এভাবে কোন স্বামীর সামনে কোন নারীকে ধর্ষণ করা কি কোন ধর্ম সমর্থন করতে পারে? অথচ এইসব তালেবানরাই ইসলামের জন্য জিহাদের কথা বলে। আল্লার আইন কায়েমের কথা বলে কিন্তু এরা নিজেরাই কি জঘন্ন পাপাচারে নিয়োজিত। আসলে এইসব জঙ্গিরা ইসলামের কিছুই জানে না…। না পাঠক, আপনি বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, মানতে চান আর না-ই চান- প্রকৃত সত্য হচ্ছে একজন বন্দি ‘কাফেরের’ স্ত্রীকে তার সামনেই গণিমত হিসেবে ভোগ করা যাবে এবং তাতে মহান আল্লাপাক কোন অপরাধই মনে করেন না!

ইসলামের সেই সোনালী যুগে অর্থ্যাৎ প্রফেট মুহাম্মদের সান্নিধ্য পাওয়া সাহাবীরা, যাদের অনুকরণীয় হতে সাধারণ মুসলমানদের মসজিদ থেকে তাগিদ দেয়া হয় আজকের যুগেও, সেই তারাই একেকটি জনপদে হামলা চালিয়ে কাফেরদের পরাজিত করে তাদের নারীদের উপর হামলে পড়ত। এতটাই তারা উন্মত্ত যৌন বিকারগ্রস্ত ছিলো যে আটককৃত নারীদের বন্দি স্বামীদের সামনেই সেক্স করতে দ্বিধা করত না। এই হাদিসটি পড়লে সেসময়ের চিত্রটি পরিস্কার পাওয়া যায়- আবু সাইদ আল খুদরি বলেন – “হুনায়েন যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসুল (দ:) আওতাসে এক অভিযান পাঠান। তাদের সাথে শত্রুদের মোকাবেলা হলো এবং যুদ্ধ হলো। তারা তাদের পরাজিত করল এবং বন্দী করল। রাসুলুল্লাহর (দ:) কয়েকজন অনুচর বন্দিনীদের স্বামীদের সামনে তাদের সাথে যৌনসঙ্গম করতে অপছন্দ করলেন। তারা (স্বামীরা) ছিল অবিশ্বাসী কাফের)। সুতরাং মহান আল্লাহ কোরাণের আয়াত নাজেল করলেন – “সমস্ত বিবাহিত স্ত্রীগণ (তোমাদের জন্যে অবৈধ); কিন্তু তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের অধিকারী (যুদ্ধবন্দিনী), আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”। (সুনান আবু দাউদ, বুক নং-১১, হাদিস নং-২১৫০)।

এই হাদিস থেকে দেখা যাচ্ছে কাফের নারীদের তাদের জীবিত স্বামীদের সামনেই জিহাদীরা সেক্স করত সে সময়। তবে মুহাম্মদের কিছু কিছু সাহাবী বিব্রতবোধ করাতে সুরা নিসার ৪:২৪ আয়াত নাযিল হয়ে তাদের লজ্জ্বা অনুশোচনার হাত থেকে রেহাই দেয়া হয়েছিলো। তালেবানদের হাতে আটক কানাডিয়ান-আমেরিকান নাগরিক জোসুয়া বয়েলের পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে দেখা যাচ্ছে কোনটাই ইসলামের অথেনটিক সোর্সের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। তালেবানরা প্রফেট মুহাম্মদের সরাসরি সাহাবীদের দেখানো পথই অনুসরণ করেছে…।

গণিমতের মাল লুন্ঠন এবং কাফের রমনী অবাধে ধর্ষণের জন্য ইসলামের সেই প্রাথমিক যুগে দলে দলে প্রফেট মুহাম্মদের দলে লোকজন নাম লিখিয়েছিলো মদিনাতে। নারী লোভে উন্মত্ত অনুসারীদের নিয়ে ভবিষ্য ভেবে প্রফেট মুহাম্মদ বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন তাই লাগাম টেনে ধরেছিলেন দুটি নিয়ম ঠিক করে দিয়ে। বন্দি নারীদের মাসিক হবার পরই কেবল সেক্স করা যাবে এতে তাদের স্বামীরা জীবিত থাকুক আর না-ই থাকুক। দুই, গণিমতের মাল নবী ভাগ করে দেয়ার আগে কেউ তাতে হাত দিতে পারবে না…। সত্যিই ইসলাম একটি সুশৃঙ্খল ধর্ম – কি বলেন?

এসকল বিষয় নিয়ে কথা বললে আমরা হয়ে যাই ইসলাম বিদ্বেষী আমাদের নিজেদের মতো প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। আমরা এসকল নিয়ম কানুনকে গ্রিনা করি। লজ্জায় মাথা হেট করার মতো বিষয় বস্তু নিয়ে এসকল বাজে জিনিশের বোঝা বয়ে চলতে হয়। আমরা মণে করি আমরা এসকল নিয়ম মানলেই ইসলাম মানা হয়। তার মানে অমুসলিম নারীরা ভোগ্য পণ্য। আমাদের কয়ে কি গাধা মণে করেন আপনারা? যে যাই বিঝাবেন আমরা তাই বুঝব?