হারাম-হালাল সমাচার: এই ভন্ডামির শেষ কোথায় ?
হালালিপনা ১-
কানাডাতে আমার ঘনিষ্ঠ এক উদার (!) মুমিন বন্ধু, যিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পাশ করে এসেছেন , একদিন বলছিলেন : হালাল মাংসের নাকি স্বাদ বেশী ! বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের যদি এমন মানসিকতা হয় তাইলে কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের মানসিকতা কেমন ?
হালালিপনা ২-
কানাডার KFC রেস্টুরেন্টে কাজ করেন এক বাংলাদেশী মুমিনা – হারাম বলে তিনি KFC থেকে চিকেন ফ্রাই কিনে খান না ! হঠাৎ করে কর্মীদের জন্য মাগনা চিকেন ফ্রাই খাবার ব্যবস্হা করা হলো- দেখা যাচ্ছে মুমিনা চিকেন ফ্রাই খাওয়া শুরু করল !! তার এক বাংলাদেশী সহকর্মী জিজ্ঞেস করল : আপনি হারাম চিকেন ফ্রাই খাচ্ছেন কেন? মুমিনার জবাব: এত কি মেনে চলা যায়!!!
হালালিপনা ৩-
কানাডার এক কলেজে এক বাংলাদেশী মহিলার সাথে কথা হচ্ছিল একদিন যিনি সরকারী শিক্ষা লোন নিয়ে কলেজে পড়ছেন – যে লোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে সুদ দিতে হবে । সুদের কথাটা কি কারনে যেন আমি উচ্চারণ করার সাথে সাথে তার শরীরে যেন ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ বইয়ে গেল – তিনি বললেন কিছুতেই তিনি সুদ দিবেন না । আমি তার কথায় বিব্রত হয়ে চুপ রইলাম । কিন্তু কিছুক্ষণ পর মহিলা কথা প্রসঙ্গে বললেন তারা নাকি কানাডার ব্যাংক থেকে হাউজ লোন নিয়ে একটা বাড়ী কিনবেন- আমি ভাবলাম কানাডার হাউজ লোন মনে হ্য় সুদবিহীন !!! মহিলাকে হাউজ লোন সুদবিহীন কি-না জিজ্ঞেস করি নাই, কারন তাইলে আপনারাই তো বলবেন, আমি ইচলামফোবিয়া ছড়াই ! আচ্ছা , কানাডার হাউজ লোন কি সুদবিহীন ?
হালালিপনা ৪-
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার এক জামাতি বন্ধু ছিল যার নিকট যুক্তরাষ্ট্র মানেই হারাম এক দেশ- সে এতটাই যুক্তরাষ্ট্ররিরোধী ছিল যে পারলে হনুমানের লংকা পুড়ে ফেলার মত সেও যুক্তরাষ্ট্রকে পুড়ে ফেলত ! তো একদিন দেখলাম ঢাকার নীলক্ষেতে কয়েক ঘন্টা দাঁড়িয়ে ডিভি ভিসার আবেদন করল – তারে কইলাম তুমি এত যুক্তরাষ্ট্ররিরোধী তাইলে ঐ দেশে যাইতে চাও কেন ? সে কইলো: সব সময় কি সব কিছু মানা যায় !