কেন শুধু শান্তির ধর্মের অনুসারীরাই হামলাকারী হয়

লন্ডন হামলাকারী হিসেবে একজন সিরিয়ান খ্রিস্টান অথবা ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের কাউকে দেখতে পেলাম না কেন? তারা কোন মুসলিমের উপর প্রতিশোধ নিতে চেষ্টা করেছে কখনো? তারা তো চরম নিপীড়নের শিকার হয়েছে সিরিয়া-ইরাকে। তাদের মা-বোনদের মুসলিম জিহাদীরা যৌনদাসী বানিয়ে রেপ করেছে। আফ্রিকান কোন খ্রিস্টান, তাদেরকেও বেকো হারাম দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে, তাদের মা-বোনদের যৌনদাসী বানিয়েছে। তেমন ক্ষুব্ধ কোন আফ্রিকান খ্রিস্টান কেন হামলা চালায় না?

কিংবা কোন ভারতীয় শিখ, তার পাগরী নিয়ে পশ্চিমাদের হাসি-ঠাট্টায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে কোনদিন? মুসলমানদের দাড়ি নিয়ে কথা বললেই তারা রাইফেল নিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নিরোহ নারী-শিশুদের মেরে ফেলে…। অথবা কোন হিন্দু অবাধে বর্গার আর সেন্ডউইচে গরুর মাংস ব্যবহার দেখে সহ্য করতে না পেরে ছোড়া হাতে কাউকে তাড়া দিয়েছে? অথচ রজজান মাসে পশ্চিমা কোন বারে হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে…।

লন্ডন হামলাতেও যে দুই ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে তারা দুজন যথাক্রমে ২৭ বছরের খুরাম শাজাদ বাট এবং ৩০ বছরের রাশিদ রিদওয়ান! প্রথমজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দ্বিতীয়জন মরক্কোন। আর এই দুইজনই শান্তির ধর্মের অনুসারী। এই দুজন আর সব হামলাকারীর মতই ইসলামের শত্রুদের খতক করার জন্য ‘আল্লাহ মহান’ বলে ঝাপিয়ে পড়েছিল…।

কেন শুধু শান্তির ধর্মের অনুসারীরাই হামলাকারী হয়? কি আছে তাদের বিশ্বাসে? কি বলা আছে তাদের কিতাবে? নতুন প্রজন্মের কাছে এই প্রশ্নটা তুলে দিলাম। ঋত্বিক ঘটক বলেছিলেন, ‘ভাবো, ভাবার প্রাক্টিস করো’। আমিও তাই বলি। বস্তুত আমার যাবতীয় লেখালেখির উদ্দেশ্যই তোমরা যাতে ভাবো, প্রশ্ন করো…।