মুমিনদের ধর্ম পরীক্ষা সিরিজ
—————————————————————————————————-
ইসলাম ধর্ম বনাম বিজ্ঞান – (পর্ব – ২)
—————————————————————————————————-
(প্রশ্ন – ১)
সূর্য আবর্তিত হয় তার জন্যে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত (অর্থাৎ সন্ধ্যা পর্যন্ত), অতঃপর সে থামে বিশ্রামের জন্যে এবং পরের দিন পুনরায় উদিত হয় পূর্বের জায়গা থেকে (Quran 13:2, 21:33, 31:29, 36:38-40, 18:86-90, Sahih Muslim 1:297 Sahih Bukhari 4:54:421, 9:93:520) ! এর থেকে কি এটাই বোঝা যায়না যে পৃথিবী নয় বরং সূর্যই ঘুরছে তার চারিদিকে ?
(প্রশ্ন – ২)
মহাকাশে যত তারা (Stars) দেখা যায় তা রয়েছে শুধুমাত্র সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যে আর কখনো কখনো তাদের (উল্কা পিন্ড) ব্যবহার করা হয় শয়তান তাড়ানোর উদ্দেশ্যে (Quran 67:5, 37:10, 72:9) ! এধরনের কুসংস্কার কি কোনভাবেই বিজ্ঞানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে বোধ হয় ?
(প্রশ্ন – ৩)
ডাইনোসরেরা এই পৃথিবীতে রাজত্ব করে গেছে ১৩৫ মিলিয়ন বছর, যাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে মাটির তলদেশে ফসিল আকারে ! এতো বড়ো একটা প্রাণীর ব্যাপারে কুরান বা হাদিসের কোথাও বলা নেই কেন ? এটা কি আল্লাহ বা মুহম্মদের অজ্ঞতা নয় ?
(প্রশ্ন – ৪)
কুরআন মতে (Quran 13:3, 36:36, 43:12, 51:49) আল্লাহ পৃথিবীতে সৃষ্ট সকল কিছু তৈরি করেছেন জোড়ায় জোড়ায় (male and female), তিনি কি নিচে উল্লেখিত জীবদের ব্যাপার কিছুই জানতে না ?
1. Asexual organisms (e.g. bacteria, protozoans, and unicellular algae and fungi).
2. Hermaphrodites (e.g. sponges, snails, slug-like sea hare, and some kinds of deep-sea arrow worms).
(প্রশ্ন – ৫)
সৃষ্টিতত্ব মতে ‘আদম ও হাওয়া’ থেকে সমগ্র মানব জাতির উদ্ভব ! কিন্তু বিজ্ঞান বলে মানুষ সহ সকল প্রাণী এসেছে বিবর্তনের মাধ্যমে । বিবর্তনের বাস্তব প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন মুসলিমরা আদম-হাওয়ার কল্প কাহিনীকে বিশ্বাস করে যাচ্ছেে?
(প্রশ্ন – ৬)
মানুষের শুক্রানু উৎপন্ন হয় শূক্রাশয় (Testes) থেকে যা অন্ডথলির (Scrotum) ভেতর অবস্থিত । কিন্তু কুরান দাবী করে তা উৎপন্ন হয় মেরুদন্ড (backbone) এবং পাজরের হাড়ের (ribs) মধ্যস্থল থেকে (Quran 86:5-7) ! এধরনের তথ্য কি আপনার কাছে বিজ্ঞানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে মনে হয় ?
(প্রশ্ন – ৭)
কুরান কেন দাবী করে আল্লাহ পৃথিবীর ভূমিকে ক্রমশ চতুর্দিক থেকে সংকুচিত বা হ্রাস করে আনছেন যা বিজ্ঞানের তথ্যের সাথে সাংঘর্ষিক (Quran 13:41, 21:44) ?
In the geological record, there are indications that the relative proportion of land and ocean, and the average depth of the world’s oceans, has remained relatively constant for at least the last one billion years of the Earth’s history. This is inferred from the fact that the maximum thickness of undisturbed marine sedimentary deposits has remained essentially the same, around 50,000′ [~15 km], for that span of time.
Changing Paleoclimates and Mass Extinctions, The Climatic Models Donald L. Blanchard.
(প্রশ্ন – ৮)
মুসলিমরা কোন ভিত্তিতে দাবি করে Quran 65:12 দ্বারা সৌর মন্ডলে বিদ্যমান সাত টা গ্রহের নির্দেশ পাওয়া যায় যেখানে অ্যাস্ট্রোনমারদের মতে গ্রহের সংখ্যা তের (eight ordinary planets and five dwarf planets) ?
(প্রশ্ন – ৯)
আল্লাহ সাত আসমান তৈরি করেছেন যার মধ্যবর্তি আসমানে রেখেছেন চাঁদ কে (আলোক রূপে) (Quran 71:15-16) আর নক্ষত্রসমুহকে (Stars) নিকটবর্তি বা নিন্ম আকাশে (Quran 37:6) ! এটা কি বিজ্ঞানের সাথে কোন ভাবেই সঙ্গতিপূর্ণ ?
(প্রশ্ন – ১০)
কুরানের (Quran 76:13) ভাষ্য অনুযায়ী রাত্রিকালীন (মরু অঞ্চলের) শীতের তীব্রতা চাঁদের প্রভাবের কারনে ঘটে থাকে ! কিন্তু আমরা জানি সূর্য থেকে পৃথিবীতে আগত তাপ রাতের বেলা সহজেই মরুর বায়ু ভেদ করে বের হয়ে যায় বলে তীব্র শীত অনূভুত হয় ! কুরান যদি আল্লাহর বানীই হয়ে থাকে তবে এতে এধরনের ভুল তথ্য থাকবে কেন ?