ইসলামী ভাইরাস

আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও নিজ স্বার্থের কারণে চীন ইসলামিস্টদের যতই অর্থ দিয়ে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করুক, সে নিজে খুব ভাল করেই জানে এই ভাইরাস কতটা ভয়াবহ। তাই নিজের শরীরে এর সংক্রামণ যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে যে কোন কঠোর প্রতিরোধে সে কুন্ঠিত হয় না। এ কারণেই চলতি রমজান মাসে রোজা রাখার জন্য ১০০ মুসল্লিকে গ্রেফতার করেছে চীন সরকার (নিউজ লিংক প্রথম কমেন্টে)!

জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর জাতিগোষ্ঠিদের মধ্যে আছে উল্লেখযোগ্য কিছু মুসলিম ধর্মালম্বী চাইনিজ। এই প্রদেশের লাগায়ো পাকিস্তান বর্ডার ও কিছু মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সীমানা হওয়াতে চীনের শরীরের এই বিষফোড়ার জন্ম বলা যায়। ইসলাম ধর্মটাই এরকম যে মুসলমানদের নিজ জাতিসত্ত্বা, সংস্কৃতির বিরোধী বানিয়ে ফেলে। বাঙালী মুসলিমরা এটা ভাল করেই জানে। প্রায় একশ জাতি ও ভাষার দেশ চীনের ৯৯ টি জাতিগোষ্ঠির চীনে বাসবাস করতে সমস্যা না হলেও মুসলমানদের ঈমান আকিদা ঠিক রাখতে খিলাফত ছাড়া চলে না। তাই জিনজিয়াং প্রদেশের তালেবান, আইএসসহ পাকিস্তানের লস্করে তৈয়াবার মত দলগুলোর মতানুসারীতে ভরে গেছে। চাইনিজ জিহাদীরা ভবিষ্যতে চীনের জন্য সমস্যার কারণ হবে সেটা চীন বুঝতে পেরে বাসরঘরেই বিড়াল মেরে রাখতে চাইছে।

এটা খুব ইন্টারেস্টিং যে চীন বুঝতে পেরেছে মূল সমস্যা মুসলমানদের ধর্ম ইসলামে। মুসলিমদের সংশোধন করতে তাই ইসলামের উপরই বিধিনিষেধ চালাতে হবে। থেরেসা মে’দের মত কিংবা কানাডার টুডোর মত মসজিদে গিয়ে শান্তির সন্ধান করা কিংবা ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে মুসলিমদের খুশি করে পথে আনার হাস্যকর প্রচেষ্টায় না গিয়ে ডাইরেক্ট মসজিদ, কুরআনের উপর চীন সরকার হস্তক্ষেপ চালিয়েছে। এমনকি এই জিনজিয়াং প্রদেশেই মুসলিমদের ইসলামী রীতি অনুযায়ী লম্বা দাড়ি রাখার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

বিগত বছরগুলোতে জিনজিয়াং প্রদেশে নানা রকম সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে যার মূলে ছিল ইসলামী ফান্ডামেন্টালিস্ট কাজ। ক্যান্সার শুরুতে ধরা পড়লে চিকিৎসায় পুরোপুরি নির্মূল সম্ভব। এবং চিকিৎসা যে হোমিওপ্যাথিতে নয়- একদম সার্জিক্যাল পদ্ধতিতে করতে হবে সেটা সারা বিশ্ব চীন থেকে শিক্ষা নিতে পারে। খিলাফতবাদী মুসলিমদের কিভাবে টাইট দিয়ে লাইনে আনতে হয় একদিন বিশ্ববাসী সেটা চীন থেকেই শিখতে বাধ্য হবে নিশ্চিত…।

মজার বিষয় হচ্ছে, চীন ইসলামের বারোটা বাজালেও কোথাও চাইনিজ পণ্য বর্জনের ডাক উঠে না! চীনের বিরুদ্ধে বাইতুল মুকাররমও সুনসান নিরব। চীনকে ইসলামের শত্রু বলেও কখনো প্রচারণা দেখা যায়নি। এমনকি টকশোগুলোতে বামাতীরা চীনকে ইসলামোফোবিয়া জন্য দায়ী করে গরম করে তুলতে দেখা যায়নি…!