মহিলাদের ঘরের বাইরে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার হিড়িক বেড়ে গেলে ইসলামের কোন রক্ষণশীলতা ভেঙ্গে নারী মুক্তি ঘটবে? কিংবা একজন মহিলার ইমামতিতে মসজিদে নামাজ পড়া শুরু হলে ইসলাম ধর্মের কি ধরণের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে?
ইরানী মেয়েদের ‘বুরকিনি’ অর্থ্যাৎ পুরো শরীর মাথা ঢেকে সাঁতারের পোশাক পরা কিংবা হিজাব-পায়জামা পরে ফুটবল খেলার চেষ্টা কি ধরণের নারী মুক্তির নমুনা ধরতে হবে? পুরো বোরখায় নিজেকে ঢেকে সরকারের উচু পদে কোন মহিলাকে বসতে দেখলে আসলে কি প্রমাণিত হয়? ইসলামে নারীর চাকরি-বাকরি করতে কোন নিষেধ নেই? ইসলাম দিয়েছে নারীদের ঘরের বাইরে গিয়ে নামাজ পড়ার অধিকার! ইমামতির অধিকার! সাঁতার কাটতে আর ফুটবল খেলার স্বাধীনতা…!
বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল ফিফার পোশাক কোড মেনেই ফুটবল খেলে। কাল থেকে যদি কোন গোষ্ঠির চাপে পড়ে তাদেরকে ইরানী নারীদের মত পোশাক পড়ে খেলতে বাধ্য করা হয় সেটাকে কি বলা যাবে? নারীর প্রতি লিঙ্গবৈষম্য নাকি ইসলামী ফান্ডামেন্টালিস্টদের আধুনিক উদার মনোভাব- কারণ তারা মেয়েদের ফুটবল খেলাটা মেনে নিয়েছে!
কুরআন-হাদিসের ৯৯টা নারী বৈষম্য, যৌন বৈষম্য, বহুবিবাহ ইত্যাদিকে মেনে নিয়ে নারীদের ফুটবল খেলতে দিলে মুসলিম নারীদের অবস্থার কি পরিবর্তন হলো? একজন মহিলা ইমাম পুরুষদের সামনে দাঁড়িয়ে আবৃত্তি করবেন ৯৯টা নারী বৈষম্যের ঐশ্বি বাণী! বোরখা, হিজাব বলছে নারীর পুরো শরীরটাই হচ্ছে খাদ্য। নারীর শরীর এক পাপের আকড়। একে ঢেকে রাখতে হবে পুরুষের কাছ থেকে…। এই মানসিকতায় আস্থা রেখে সচিবালায়ে উচ্চ পদে বসে একটা মহিলা কি শোভা বর্ধন করবে?
বুরকিনি বাকী পৃথিবীকে পৃথক করে দিয়েছে মুসলিম নারী আর অমুসলিম নারীতে। অথচ পুরুষতান্ত্রিক বিধাতার বিধানে নারীর তো কোন ধর্ম নেই। সে স্রেফ ভিকটিম মাত্র…।