মৌলবাদী রাজ্জাক বিন ইউসুফের ওয়াজ নিয়ে কিছু কথা (শেষ পর্ব)

প্রথম পর্ব পড়ুন এইখান থেকে

বণি নাজিরের এই সম্পত্তি দখল বিনা বাধায় প্রফেট লাভ করেছিলেন বলে এই ভাগ তিনি তার সাহাবীদের দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি নিজে পুরোটা দখল করে নিয়েছিলেন এবং এটা সবাইকে মেনে নিতে কুরআনে আয়াত নাযিল করে ভয় দেখিয়েছিলেন। সুরা হাসরের ৬-৭ নম্বর আয়াত দেখুন কি বলছে,- আল্লাহ বনু-বনুযায়রের কাছ থেকে তাঁর রসূলকে যে ধন-সম্পদ দিয়েছেন, তজ্জন্যে তোমরা ঘোড়ায় কিংবা উটে চড়ে যুদ্ধ করনি, কিন্তু আল্লাহ যার উপর ইচ্ছা, তাঁর রসূলগণকে প্রাধান্য দান করেন।

আল্লাহ সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান (৬)। আল্লাহ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রসূলকে যা দিয়েছেন, তা আল্লাহর, রসূলের, তাঁর আত্নীয়-স্বজনের, ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্তদের এবং মুসাফিরদের জন্যে, যাতে ধনৈশ্বর্য্য কেবল তোমাদের বিত্তশালীদের মধ্যেই পুঞ্জীভূত না হয়। রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা (৭)।

আপনি যখন একবার তাকে প্রফেট মেনে নিয়েছেন, বিশ্বাস করেছেন তার কাছে ঈশ্বরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আছে তাহলে এরপর সুরা নিসার নির্দেশ আপনার না মেনে কোন উপায় আছে কি? ‘যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি’ (সুরা নিসা ৮০)।

এখানে প্রফেট মুহাম্মদ নিজেই আল্লার সমকক্ষ হয়ে গেছেন! তার হুকুমই আল্লার হুকুম। তিনি অবলীলায় অবিশ্বাসীদের সম্পত্তি নিজের দখলে রাখছেন। অন্য ধর্মালম্বীদের বিশ্বাসের মূর্তিকে ভেঙ্গে মাটিতে মিশিয়ে দিতে বলছেন। আইএস যখন ইরাকের কথিত ইউসুফ নবীর কবর গুড়িয়ে দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল তখন এদেশের ইসলাম না জানা মুসলমানরা হায় হায় করে বলে উঠেছিল কোন মুসলমান কি করে নবীর কবর গুড়ো করে ফেলতে পারে?

তারা মুসলিম শরীফের এই হাদিসটির কথা জানে না। জানে রাজ্জাক বিন ইউসুফদের মত আলেমরা যাদের হাদিস ছিল একাডেমিক চর্চার বিষয়। তাই তারা ওয়াজ করতে বসে মূর্তি-ভাস্কর্যকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে চান। একজন রাজ্জাক বিন ইউসুফ, জাকির নায়েক, জসিমউদ্দিন রাহমানি কোন সমস্যা না। এই ব্যক্তিগুলোকে আটকে রেখে বা নিশ্চিহৃ করে দিলেই কি সমস্যা মিটে যাবে? উপরে এত কথা বলার পরও সমস্যাটা কোথায় তারপরও ভেঙ্গে বলতে হবে?