ইসলাম ধর্মের সংষ্কার দরকার

ইসলাম ধর্মের সংস্কার এখন বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন আলোচনার বিষয়। বিশ্বের বড় বড় রাজনীতিবিদ আর চিন্তাবিদরা ইসলাম ধর্মের সংস্কারের উপর গুরুত্ব আরোপ করছেন, এ ব্যপারে নতুন নতুন প্রস্তাবও উপস্হাপন করছেন। কিন্তু, ইসলামের ইতিহাস, নবী মুহম্মদের ২৩ বছরের নবুয়্যত জীবন আর তাঁর আদর্শকে কিভাবে সংস্কার করা সম্ভব, তা আমার মাথায় ঢোকে না।

ধরে নিচ্ছি রাজনীতিবিদেরা শুধুই কোরাণকে সংস্কারের কথা ভাবছেন। সেক্ষেত্রে কোরাণের সব সহিংস, সাম্প্রদায়িক, বর্বর, অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক আর হাস্যকর আয়াতগুলোকে মুছে ফেলা হবে। কোরাণের আয়াত যখন সংশোধন সম্ভব নয়, নতুন আয়াতও আল্লাহকে দিয়ে নাজিল করানো সম্ভব নয়, তখন সেগুলো মুছে ফেলা ছাড়া আর উপায় কি? আচ্ছা, কোরাণের সহিংস, সাম্প্রদায়িক, বর্বর, অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক আর হাস্যকর আয়াতগুলো মুছে ফেলা হলে কোরাণে আর থাকলোটা কি? তাই বলতে চাচ্ছি, কুসংস্কার আর অন্ধ বিশ্বাসকে আসলে সংস্কার করা যায় না, একে ত্যাগ আর নিষিদ্ধ করতে হয়। তাছাড়া অন্য সব ধর্মের গ্রন্থগুলোতে সহিংস আয়াত কিছুটা কম থাকলেও কুসংস্কার, অপবিজ্ঞান আর গোড়ামীর অবস্থা মোটামুটি একই রকম। সেগুলোও নিষিদ্ধ করা জরুরী।

আদিম আর মধ্যযুগীয় বর্বর এবং অন্ধকার সময়ের ধান্দাবাজ ধর্মব্যবসায়ীদের স্বপ্নে পাওয়া আর পাতায় লেখা বাণী এই আধুনিক সভ্য যুগের মানুষদের জন্য সংস্কারের কিছু নেই। সকল ধর্মগ্রন্থকে নিষিদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।