দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষক

যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিকে ছাত্রনামধারী মাস্তান, অন্যদিকে হেড মাস্টার- যৌন নিপীড়ন চালাচ্ছেন আর তার প্রতিবাদ করলে জোর, জুলুম, লাঠি, মামলা, জেল। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী একজন ছাত্র গত এক সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ করছেন সাহায্যের আশায়। আন্দোলন করায় তাদের বহিষ্কার করার চিঠি ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী ২৮ তারিখের মধ্যে লিখিত জবাব দেয়ার কথা। আমি তাদের সাথে এনিয়ে বসার কথা। এরমধ্যে আবার বেশ কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাম কুকামের কথা লেখায় তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলাও করেছেন মাষ্টাররা!! আজ ক’জন গ্রেফতার হয়েছেন শুনলাম। আমার সাথে যে যোগাযোগ করত সেও জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

উপরের তথ্যগুলো থেকে কিছু বিষয় বুঝে নেয়া দরকার- বিশ্ববিদ্যালয় কি এইসব মাস্তান যারা যৌন নিপীড়ন করে আর যেসব মাষ্টাররা তাদের সহায়তা করে তাদের বাপের টাকায় চলে? মামলা হওয়ার কথা যৌন নিপীড়কের নামে, সাধারণ ছাত্রদের নামে মামলা হোল কেন? যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধের জন্যে হাইকোর্টের রায় ও আদেশ মোতাবেক একটি কমিটি থাকার কথা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেরকম কোন কমিটি কি আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে? তারা কি যৌন নিপীড়নের বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করেছিলেন?

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাষ্টারদের নিয়ে কথা বলতে গেলে খুব কষ্ট হয়। কিছু শিক্ষক আছেন যাদের কথা বলতে গেলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে। আবার কেউ কেউ আছেন যাদের নাম শুনলে গায়ে ফোসকা পড়ে। দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়ছে।