মাননীয় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে ১১ টি দূর্নীতির অভিযোগ এনে আজকের দিন পর্যন্ত একটি দূর্নীতিও প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্র।
এই পুরো ঘটনাটিতে এলার্মিং ব্যাপারটি ছিলো আপীলেট ডিভিশানের অন্য বিচারপতিদের ভূমিকা। যেই জুডিশিয়ারীকে বাঁচাবার জন্য একটি মানুষ এইভাবে আত্নাহুতি দিলেন সেই জুডিশিয়ারীর বিচারপতিদের এমন ভূমিকা অনেকটা পেছনে ছুরি বসাবার মত।
আপীলেট ডিভিশানের বিচারপতিরা নাকি অনেক কাগজ-পত্র, প্রমাণ-সাবুদ নিয়ে মাননীয় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। আবার মাননীয় প্রধানবিচারপতি নাকি “সঠিক” ব্যখ্যা দিতে পারেন নি।
একটি রুমের মধ্যে আটকে ধরে ৮-১০ জন লোক একটি লোককে ঘিরে ধরে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রমাণ চায়, এটা কোন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিরা করেছে?
বিচারপতিরা তাঁদের শপথের আগে বলেন যে তাঁরা সকল ধরনের আবেগ-বিরাগ থেকে দূরে থাকবেন। কিন্তু আদতে কি তাঁরা সেটি করতে পেরেছেন? তাঁরা মিডিয়াতে প্রেস রিলিযে বললেন তাঁরা নাকি প্রধান বিচারপতির সাথে একই বেঞ্চে বসবেন না বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে একই বেঞ্চে বসবেন না বলে এমন কথা বলে কি তাঁরা তাদের শপথ-ই কি ভঙ্গ করলেন না? একজন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেই তিনি কিভাবে দোষী সাব্যাস্ত হন পরিপূর্ণ তদন্ত ছাড়া, প্রমাণ ছাড়া?
যদি একটি দেশের সর্বোচ্চ আইনী চেম্বার আপীলেট ডিভিশানের বিচারপতিরা “ইনোসেন্ট আনটিল প্রুভেন গিলটি” এই দর্শন, এই স্বীকৃত আইনী নর্ম না মানেন, তাহলে আমরা অন্যদের কাছে কি আশা করব?
বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশের জুডিশিয়ারী এই বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ন্যাক্কারজনক, এক কালো অধ্যায়ের অংশ হয়ে রইলেন।
এতে অন্তত কোন সন্দেহ নেই।