ছাত্রলীগের ওই ছেলেটা যে গতকাল টিভিতে বলছিলো দেশে কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি কিংবা শেখ হাসিনার আমলে এসব হতে পারেনা, অনেকের কাছে ব্যাপারটা বিনোদনের হলেও আমার কাছে খারাপ লেগেছে অনেক কারনেই।
ছেলেটির মিথ্যে বলবার ক্ষমতা দেখে অভিভূত না হয়ে থাকা যায়না। এমন প্রতিভা সাম্প্রতিক সময়ে শুধু খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়। এইতো মিসেস জিয়া, কিছুদিন আগেই বলেছিলেন পদ্মা সেতুতে কেউ যেনো না ওঠেন কেননা এটি জোড়াতালি দিয়ে বানানো হচ্ছে।
নানা সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় লিয়াকত শিকদার সাহেবের ব্যাপক প্রভাব ছাত্রলীগে। এর আগের কমিটির নাজমুল নামের ছেলেটি যিনি এখন লন্ডনে ব্যবসা করেন তিনিও মিডিয়াতে বলেছিলেন “কুত্তার মত পিটামু”, সাম্প্রতিক সময় আরো একজন নেতা বলেছিলেন “কুত্তার মত কামড়ামু”, এগুলো সবই নাকি লিয়াকত সাহেবের রিক্রুট। আমি অবশ্য ঘটনার সত্য মিথ্যা জানিনা। এগুলো শোনা কথা।
ছাত্রলীগের এই নেতাগুলো প্রকাশ্যে এসে কেন কুত্তার মত কামড়াতে চায় কিংবা কুত্তার মত পেটাতে চায় কিংবা কেনই বা টকশোতে এসে মিথ্যে কথা বলে আমি জানিনা। যদি দলের কোনো ক্ষতি করে থাকে তাহলে অন্য কেউ নয়, এই নেতারাই করছে এবং করবে।
দিনের শেষ এগুলোর দায়ভার আওয়ামীলীগকেই নিতে হয়। দুই একটা ছেলের জন্য পুরো দলটিকে সারাটি বছর ধরে গালাগাল শুনতে হয়, কথা শুনতে হয়। অথচ আমি এখনো মনে করতে পারি ২০১২ সালের নভেম্বরে যখন আমরা অরাজনৈতিক কয়েকজন ব্যাক্তি লন্ডনে ওয়াটার লিলি কনভেনশন হলের সামনে সাঈদীর পক্ষে জামাতের একটি সভার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য সমবেত হয়েছিলাম তখন ছাত্রলীগের তামিম, ঝলক, জুয়েল, সজীব, সুমন, জাকির ভাই সহ প্রায় ১৫-২০ জনের এই ছেলেগুলোই সবার আগে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো, প্রতিবাদ করেছিলো। সেই স্মৃতি আমি আজও ভুলতে পারিনা। বিপদের বন্ধু, দুঃসময়ের বন্ধুর কথা ভুলা সম্ভব না।
ছাত্রলীগের যখন সমালোচনা করি সামগ্রিকভাবে তখন নিজের ভেতরেও এক ধরনের কষ্ট হয়। এত অসংখ্য মেধাবী কর্মী, নেতা থাকার পরেও কিছু নির্বোধ স্টুপিডদের কারনে এই সমালোচনাগুলোর মুখোমুখি হতে হয় ছাত্রলীগকে।
কিন্তু এতো কিছুর পরেও দল এদের ঝেঁটিয়ে বিদেয় করে না কিংবা শাস্তির সামনে আনে না। প্রশ্নগুলো শুধু সামনে এসেই ঘুরতে থাকে। উত্তর পাইনা।
এইসব অকাল কুষ্মান্ডদের কেন পালতে হয়? কি দরকার তাদের?