তিন দিনে ২০ জঙ্গি জামিন পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে গেছে! বলাই বাহুল্য এরা তাদের অসমাপ্ত জিহাদে ফের যোগ দিবে এখন। নাস্তিক ব্লগার, প্রগতিশীল, মুক্তচিন্তার মানুষদের ফের হত্যা করতে সচেষ্ট হবে। যারা জঙ্গিদের এভাবে অবাধে মুক্তি পাওয়াতে বিস্ময় প্রকাশ করেন, কিংবা সব দোষ আদালত আর বিচারকদের উপর দিতে চান তারা হয়ত জানেন না, আদালত থেকে এইসব জিহাদীরা অতি সাধারণ ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনের’ আওয়াত জামিন পেয়ে যাচ্ছে। জিহাদীদের কর্মকান্ডকে সাধারণ সন্ত্রাসের আওতায় ফেলে কেমন করে দেশকে জঙ্গি মুক্ত করা সম্ভব? জিহাদীদের জন্য যেখানে বিশেষ জঙ্গি বিরোধী আইন দরকার ছিলো সেখানে সাধারণ টেন্ডারবাজী, মাস্তানী, চাঁদাবাজীর আইনের আওতায় ইসলামী টেরোরিস্টদের বিচার করতে গেলে আদালত তো সেই আইনের ধারাতেই জঙ্গিদের জামিন দিবে!
ইন্টারনেটে লেখালেখি করা ‘ভয়ংকর সন্ত্রাসীদের’ জন্য আইসিটি আইন পাশ হয়েছে যেখানে জামিন অযোগ্য হিসেবে এইসব ‘কিবোর্ড সন্ত্রাসীদের’ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু যারা চাপাতী বোমা দিয়ে ‘শান্তিপূর্ণভাবে ধর্ম প্রচার করছে’ তাদের জন্য জামিন হচ্ছে মৌলিক অধিকার!
বিশেষ জঙ্গি দমন আইন জাতীয় বিশেষ কোন আইন যখন জরুরী ছিলো তখন সাধারণ অপরাধের সংজ্ঞাতে জঙ্গি জিহাদীদের বিচারের নামে তামাশাই ঘটছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এত অভিযান, প্লাণ সবই ব্যর্থ হচ্ছে উপযুক্ত আইনের অভাবে…। সরকারের ভেতর তো জাকির নায়েকের এজেন্ট আগেই প্রকাশিত হয়েছে। এইসব জামিন অনেক বড় বড় রাঘব বোয়ালদের আর্শিবাদের তলাতেই হয়। বিশেষ জঙ্গি আইন না হওয়াতেও তেনাদের অনিচ্ছা যে বিশেষ কাজ করে তা বলাই বাহুল্য…।
সবাই সতর্ক হোন। এইসব মুক্তি পাওয়া জঙ্গিরা আরো বেশি করে ভয়ংকর হয়ে উঠে।