এই পৃথিবীতে শুধু মসুলমানরাই বাস করেন না। আরো বাস করেন কোটি কোটি অন্য আরো শত শত ধর্মের ধর্ম প্রাণ মানুষ। যেমন হিন্দু, খৃষ্ঠান, বৌদ্ধ, শিখ, ইহুদী। ধার্মিক লোক ছাড়াও এই পৃথিবীতে রয়েছেন ধর্মে অবিশ্বাসী কোটি কোটি নাস্তিক। একজন মানুষ মুসলমান নয়, এর সহজ বোধ্য মানে হচ্ছে তিনি আল্লাহ, রাসূল কিংবা মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরান শরীফের উপর বিশ্বাস রাখেন নি। তাঁরা তাদের নিজ নিজ ধর্ম কিংবা বিশ্বাস আঁকড়ে ধরেছেন।
কিন্তু তাতে করে কি হয়েছে? সারা পৃথিবীর হিন্দু, খৃষ্ঠান, বৌদ্ধ, শিখ, ইহুদি কিংবা নাস্তিকরা কি না খেয়ে মারা যাচ্ছেন? তাঁরাও তো তিন বেলা খাচ্ছেন, অর্থ উপার্জন করছেন, পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনকে তাঁদের মত করে উপভোগ করছেন।
আমরা মুসলমানরা বিশ্বাস করি আল্লাহ রিজিক দাতা। এই নামটি আল্লাহর পবিত্র ৯৯ টি নামের মধ্যের একটা। আমরা এও বিশ্বাস করি তিনি প্রতিপালন কর্তা। এটিও আল্লাহর ৯৯ টি গুন বাচক নামের মধ্যে একটি। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহর হুকুম ছাড়া কিছুই সংগঠিত হয় না। তিনি বলেন হও, অমনি তা হয়ে যায়।
আমরা যদি এসব কথা বিশ্বাসই করে থাকি তবে সেই যুক্তিতে বলা যায় মুসলমান ছাড়া পৃথিবীর আর বাকী সকল ধর্মের মানুষের সব আরাম, আনন্দ, নিরাপত্তার বিধান আল্লাহ-ই করছেন। ইনফ্যাক্ট যেই ব্যাক্তি আল্লাহকে নিয়ে আজ গালি দিলেন, কটু কথা বললেন তাঁর সেই মুহুর্তের বেঁচে থাকবার জন্য বায়ু গ্রহন কিংবা সেদিনের আহারের ব্যবস্থা তো আল্লাহই করেছেন আমাদের মুসলিমদের যুক্তি মতে। তাই নয় কি?
যদি আল্লাহ একজন নন মুসলিমের টেক কেয়ার করেন যথাযথভাবে, যদি তাঁকে বাঁচিয়ে রাখেন, যদি তাঁকে নিরাপত্তা বিধানই তিনি করেন তাহলে আমরা মুসলমিরা কি আল্লাহর থেকে বেশী জ্ঞানী হয়ে উঠেছি যে আমরা ধর্মে অবিশ্বাসী কিংবা অন্য ধর্মের ব্যাক্তিদের ঘৃণা করব? তাঁদের কল্লা চাইব? আমরা কি আল্লাহর উপর দিয়ে মাতবরি করে যাচ্ছি তাহলে? আমরা কি তবে নিজেরাই শিরক করছি তাঁর উপর মাতবরি করতে গিয়ে? আমরা কি এইসব ইশারা বা নিদর্শন দেখে কিছুই বুঝতে পারিনা?
আমি ক্ষুদ্র মানুষ। হয়ত আমার চিন্তাও ক্ষুদ্র, হয়ত আমার ভাবনাও ক্ষুদ্র। এই ক্ষুদ্র আমি লেখার শেষে আরেকটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই আমার মুসলিম ভাইদের। বিদায় হজ্বের দিন রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
“সাবধান, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কোরো না। এ বাড়াবাড়ির কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে”