প্রিয় যোদ্ধারা, আমি সামান্য এবং অতি ক্ষুদ্র একজন মানুষ। তবুও আজকে কয়েকটা কথা আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি যারা শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন দেশের জন্য, একাত্তরের ঘাতকদের ফাঁসীর দাবিতে। এই সময়ে আপনাদের শাহবাগ থেকে সরাবার জন্য আপনাদের সম্পর্কে নানান বিভ্রান্তি তৈরী করা হবে। বলা হবে আপনারা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন, বলা হবে আপনারা গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর মাধ্যমে কাজ করছেন, আপনাদের ভেতরে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ রয়েছেন।
এই সুযোগে আপ্নাদের ভেতর গ্যঞ্জাম লাগিয়ে দেয়া হতে পারে এই ভিন্ন মতকে কাজে লাগিয়ে, এই মানব সমুদ্রের মধ্যে আস্তিক রয়েছেন, নাস্তিক রয়েছেন, বাম পন্থী রয়েছেন, আওয়ামীলীগ আদর্শের জনতা রয়েছেন, কোন মতাদর্শের নন এমন মানুষ রয়েছেন, ভিন্ন ভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসীরা রয়েছেন, আছেন সংসারী, আছেন সংসার বিরাগী, আছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ, আছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ, আছেন ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে পড়া শিক্ষার্থী, আছেন পিতা, আছেন মা, আছেন সমাজের প্রতিটি স্তরের অসংখ্য মানুষ।
এই এত মানুষের মিলন মেলায় আপনাদের ভেতর চিড় ধরিয়ে দেয়া কিংবা নিজেদের ভেতর আস্থাহীনতা তৈরীর জন্য স্বাধীনতা বিরোধীরা ধর্ম কে পুঁজি করে ঝামেলা পাকাতে পারে, আদর্শগত দিক থেকে আপনাদের একজনের সাথে আরেকজনের ক্যাচাল লাগিয়ে দিতে পারে। কেননা এরা এদের নিজেদের পত্র পত্রিকায় এরি মধ্যে আপনাদের লীগের এজেন্ট বানিয়ে দিয়েছে, স্টুপিড আন্দালিব পার্থ তার ফ্যান পেইজে বার বার ইংগিত করছে যাতে আপনারা এই সরকারকে আক্রমনে যান, যাতে আপনারা সরকারকে এটাক করেন, ট্রাইবুনালে এটাক করেন। সে আপনাদের সবাইকেই আওয়ামীলীগের গুটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এরকম সে আরো করবে।
কিন্তু আপনারা যেভাবে হাতে হাত ধরে অন্য সকল কথা ভুলে শুধু ঘাতকদের বিচারের দাবীতে একজোট হয়েছেন, যেহেতু আপনারা কোনো রাজনৈতিক আদর্শ এখানে প্রচার করতে আসেন নাই, যেহেতু আপনারা কোন রাজনীতিবিদ কিংবা কোন নেতাকে পোছেন না, যেহেতু আপনারা এখানে এসেছেন ৩০ লক্ষ কিংবা তারো অধিক স্বজন হত্যা আর ৪ লক্ষ বা তারো অধিক মা-বোনদের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাতে দেয়া হয় সেটি চাইতে, সেহেতু এসব প্রোপাগান্ডায় আপনারা পা কাটবেন না, এটা বলা বাহুল্য।
হাতে হাত রাখেন যোদ্ধারা, প্রাণে প্রাণ মিলান। জয় বাংলা বলে চিতকার দিয়ে ওঠেন।