রাজাকার সাঈদীর বিচারের সকল তথ্য (সংগৃহীত)

  • ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় গ্রেফতারঃ [ কারন সাঈদী নিজেকে রাসুল (সাঃ) এর সাথে তুলনা করে] ২৯ শে জুন ২০১০
  • সাঈদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অপরাধের তদন্ত শুরুঃ ২১-০৭-২০১০
  • মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়ঃ ২ নভেম্বর ২০১০ [গ্রেফতারের পর থেকেই তদন্ত চলছিলো সাঈদীর বিরুদ্ধে, সাঈদীকে গ্রেফতার করা হয় যাতে করে এই তদন্তে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ কিংবা প্রভাব বিস্তার না করতে পারে।]

 

  • সাঈদীর মামলা শুরু হয়ঃ ট্রাইবুনাল-১ এ, এবং এটি-ই এই ট্রাইবুনালের প্রথম মামলা
  • তদন্ত রিপোর্ট প্রসিকিউটরদের প্রদানঃ ৩১-০৫-২০১১ [৪ হাজার ৭৪ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট]
  • মোট তদন্ত চলেঃ ৩১৩ দিন
  • আদালতে অভিযোগ উত্থাপনঃ ১১-০৭-২০১১
  • অভিযোগ আনা হয়ঃ ৩১ টি
  • আদালত অভিযোগ গ্রহণ করেঃ ২০টি
  • আদালত অভিযোগ আমলে নেয়ঃ ১৪ ই জুলাই ২০১১
  • আদালত ফর্মাল চার্জ গঠন করেঃ ০৩-১০-২০১১
  • অভিযোগের উপর সূচনা বক্তব্য শুরুঃ ২০-১১-২০১১ থেকে ২১-১১-২০১১ [৮৮ পৃষ্ঠা]
  • সূচনা বক্তব্য দেনঃ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু এবং সৈয়দ হায়দার আলী
  • সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষ্যঃ ০৭-১২-২০১১
  • সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতে এসে সাক্ষী দেনঃ ২৮ জন
  • সাঈদীর বিরুদ্ধে জবানবন্দী প্রদান (যা সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়) করেনঃ ১৫ জন
  • সাক্ষ্য শেষ হয়ঃ ১৩-০৮-২০১২ ( এ থেকেই বুঝা যায় যে আসামী পক্ষকে কত সময় দেয়া হয়েছে প্রসিকিউশনের সাক্ষীকে জেরা করবার জন্য, প্রায় ৯ মাসেরো বেশী সময়!!!)

 

  • সাক্ষীদের বিরুদ্ধে নামঃ ঘটনার সাক্ষীরা হলেন, মাহাবুব উদ্দিন হাওলাদার, রুহুল আমীন নবীন, মিজানুর রহমান তালুকদার, সুলতান আহমেদ হাওলাদার, মাহতাব উদ্দিন হাওলাদার, মানিক পসারি, মফিজ উদ্দিন পসারি, মোঃ মোস্তফা হাওলাদার, মোঃ আলতাফ হোসেন হাওলাদার, বাসুদেব মিস্ত্রি, আব্দুল জলিল শেখ, আব্দুল আওয়াল এমপি (বর্তমান), গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা, আব্দুল হালিম বাবুল, মোঃ সেলিম খান, জুলফিকার আলী, মধুসূদন ঘরামী, মোঃ হোসেন আলী, মোঃ মোবারক হোসেন ও সাইফ হাফিজুর রহমান। আর জব্দ তালিকার সাক্ষীরা হলেন, পিআইবির ক্যাটালগার মোঃ রবিউল আলম খান, পিআইবির চতুর্থ শ্রেণীর বুক সার্টার এসএম আমিরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের গাইড কাম কম্পিউটার অপারেটর ফাতেমা বেগম, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের গাইড মোঃ নেছার, বাংলা একাডেমির গ্রন্থাগারিক ইজাব উদ্দিন মিয়া, বাংলা একাডেমির গ্রন্থাগারিক ডিস্ট্রিবিউটর মাসুম উল কবির এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান। রাষ্ট্রপক্ষের ২৮তম ও শেষ সাক্ষী হিসেবে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলালউদ্দিন

 

  • যে ১৫ জনের জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়ঃ উষা রানী মালাকার, সুখরঞ্জন বালি, আশীষ কুমার ম-ল, সুমতি রানী ম-ল, সমর মিস্ত্রি, সুরেশ চন্দ্র ম-ল, গণেশ চন্দ্র সাহা, শহিদুল ইসলাম খান সেলিম, মোঃ মোস্তফা, আব্দুল লতিফ হাওলাদার, আইয়ুব আলী হাওলাদার, সেতারা বেগম, অনিল চন্দ্র ম-ল, রানী বেগম ও অজিত কুমার শীল।

 

  • সাঈদীর পক্ষে সাক্ষীঃ ১৭ জন
  • সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য শুরুঃ ০২-০৯-২০১২
  • সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য শেষ হয়ঃ ২৩-১০-২০১২ ( অথচ আসামী পক্ষের সাক্ষীকে জেরা করতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি পেয়েছে মাত্র ১ মাস ১০ দিন সময়। আসামীদের আইনজীবি পেয়েছে ৯ মাসের বেশী সময় আর রাষ্ট্রের আইনিজীবিরা পেয়েছেন ১মাস ১০ দিন, চিন্তাই করা যায় না। এর পরেও বলে, বিচার নাকি নিরপেক্ষ নয়!!!)

 

  • সাঈদীর পক্ষের সাক্ষীদের নামঃ শামসুল আলম তালুকদার, আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ, নুরুল হক হাওলাদার, আবুল হোসেন, খসরুল আলম, রওশন আলী, জামাল উদ্দিন ফকির, কুবাত আলী, হেমায়েত উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, আনোয়ার হোসেন, হাফিজুল হক, সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী, এমরান হোসাইন, আব্দুস সালাম হাওলাদার, আব্দুল হালিম ফকির ও গণেশ চন্দ্র সাহা।

 

  • রাষ্ট্রপক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি তর্কঃ ০৫-১১-২০১২ থেকে ১৫-১১-২০১২
  • আসামীপক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি তর্কঃ ১৮-১১-২০১২ থেকে ৩০-১১-২০১২
  • রাষ্ট্রপক্ষ আসামী পক্ষের যুক্তি খন্ডান ০৪-১২-২০১২ থেকে ০৬-১২-২০১২
  • মামলার রায় যে কোনো দিন হবে জানানো হয়ঃ ০৬-১২-২০১২
  • ট্রাইবুনাল-১ এর চেয়ারম্যান ব্যাক্তিগত কারনে পদত্যাগ করেনঃ ১১-১২-২০১২

 

  • বিচার পুনরায় শুরুর আবেদনঃ ২৩-১২-২০১২
  • এর জন্য শুনানী চলেঃ ২৪-১২-২০১২ থেকে ০১-০১-২০১৩
  • রাষ্ট্রপক্ষে শুনানী করেনঃ এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম  ও সৈয়দ হায়দার আলী
  • শুনানীর পর আবেদন খারিজঃ ০৩-০১-২০১৩ (শুধু চূড়ান্ত যুক্তি তর্ক শুনবেন বলে ঘোষনা)

 

  • নতুন ভাবে যুক্তি তর্ক শোনা শুরু হয়ঃ  ১৩, ১৪ জানুয়ারী (রাষ্ট্রপক্ষ)
  • আসামী পক্ষের জন্য বরাদ্দ হয় ১৫, ১৬, ১৭
  • আসামী পক্ষ সময় বাড়াবার জন্য আবেদন করে

 

  • রাষ্ট্র পক্ষে যুক্তি তর্ক প্রদান করেঃ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী
  • অবশেষে আসামী পক্ষ ২০-০১-২০১৩ থেকে ২৮-০১-২০১৩ পর্যন্ত যুক্তি উপস্থাপন করে
  • আসামী পক্ষে যুক্তি তর্ক প্রদান করে মিজানুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক
  • ২৮-০১-২০১৩ তারিখের দুপরের পর রাষ্ট্রপক্ষ আসামী পক্ষের যুক্তি খন্ডানোর সময় পান ১ ঘন্টা
  • সাঈদীর পক্ষে এ পর্যন্ত জামিনের আবেদন হয়ঃ ৭ বার
  • ফলাফলঃ আবেদন খারিজ

 

  • ট্রাইবুনাল আজ ২৯-০১-২০১৩ তে জানায় যে সাঈদীর মামলার রায় যে কোনো দিন দেয়া হবে
  • সাঈদীর বিচারে জনতার মধ্যে যে শব্দগুলো জনপ্রিয়তা পায়ঃ লইট্টা ফিস, টেবিল, ময়না পাখি, কলিজু, গজব পড়বে, মেশিন চলবে ইত্যাদি
  • রায়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা

(তথ্যগুলো নেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে)