যদিও বা আমি শোকাহত তাও কিছু অসভ্য বর্বর মানুষের কথার জন্য বলছি।রাঙামাটি সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলাতে প্রবল বর্ষনে পাহাড় ধসে দুইজন সেনা কর্মকর্তা, দুইজন সৈনিক, মোট চারজন সেনা সদস্য, সিভিল পাহাড়ী,বাঙালী সহ প্রায় ৮০ জন মারা গেছেন। এটাকে নিয়ে অনেক পাহাড়ীরা আনন্দ প্রকাশ করে বলছেন এটা উপর ওয়ালার বিচার।আর তাদেরকে ইন্ধন দিচ্ছে আমাদের কিছু মুখোশ পরা বাঙালী মীর জাফর। তাদের ভাষ্য মতে সেনা সদস্যদের উপর ওয়ালা শাস্তি দিয়েছেন।আমি দেখে পুরা হতভম্ব হয়ে গেছি। এই ধরনের মানবতার জন্য আমরা লড়াই করছি?
এবার আমাকে যদি কেউ একটু বলতেন মোট কতজন পাহাড়ী মারা গেছে? না বললেও চলবে।কারন ১ জন মরলেও সে কোন বিচারে মরল? তাকে উপর ওয়ালা কেন শাস্তি দিল? আপনারা তো কোন পাঁপ করেন নাই তাইনা? এবার আসি অন্য কথায় আপনারা যারা সাধারন জনগন মরছিলেন আপনাদের উদ্ধার করতে গিয়েই ওরা মরেছে।এখনো কিন্তু ওরাই উদ্ধার করছে। আপনাদের কথা অনুযায়ী —- ওরা ওখানে থাকে কেন? কি কাজ করে ওখানে? শুধুই অত্যাচার, তাই না? ওরা তো বসে বসে সরকারের বেতন আর রেশন নেয়। ওদের কি দরকার ছিল উদ্ধার করতে যাবার? এখনো বা করছে কেন? রাঙামাটির লংগদুতে যাদের ঘরে আগুন লেগেছিল আমরা সবাই তাদের জন্য প্রতিবাদ করেছি।এবং এখনো করছি। তাদের পুনর্বাশন ব্যাবস্থা কারা করছে?বলতে আমারই লজ্জা করছে।যে বা যারা এই ধরনের হীনমন্যতা পোষণ করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি তাহলে লংগদুর ঘটনাও আল্লাহর বিচার হিসাবে ধরছেন না কেন? আর আজ যারা সাধারন মরল তারাও আল্লাহর শাস্তি ভোগ করছেন, তাইনা? সুতরাং আমাদের তো শোক দেখানোর কিছুই নেই। যারা আপনাদের বাঁচাতে গিয়ে জীবন দিল তাদেরকেই আপনারা বলছেন অমানুষ। তাহলে আপনারা আসলে কি?
যাই হোক আমি একজন মানুষ হিসাবেই বলি সিএইচটিতে সামরিক, বেসামরিক যত মানুষ প্রান দিল উপর ওয়ালা প্রত্যেকের আত্মার শান্তি দিক।আর যে চার সেনাবাহিনীর বীরেরা জীবন দিল এবং আরো দশজনের মত অসুস্থ যাদের ভেতরে পাচঁজনের অবস্থা আশংকাজনক সবার জন্য শ্রদ্ধায় মাথা অবনত করছি।এভাবেই মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাও।তোমাদের সম্মান রাস্ট্র দিবে। যে যাই বলুক না কেন তোমরাই এদেশের প্রকৃত বীর।প্রকৃত হিরো।আমাদের অহংকার।সৃষ্টি কর্তা তোমাদের বেহেস্ত নসিব করুন।আমিন।