আদিবাসীদের তীর ধনুকের প্রতিরোধ

পুলিশের গুলি এবং আদিবাসীদের তীর ধনুকের প্রতিরোধ। এটা কোনো সিনেমার দৃশ্য নয়- গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে জমি থেকে উচ্ছেদের জন্য আজকের পুলিশের অভিযানের দৃ্শ্য।

৬০ দশকে মহিমাগঞ্জ চিনিকলের জন্য ১৫টি আদিবাসী গ্রাম এবং ৫টি বাঙালির গ্রাম উচ্ছেদ করে আখচাষের প্রয়োজন দেখিয়ে জমি দখল করা হয়। লিখিত চুক্তি অনুযায়ী এই জমি আখচাষের জন্যে ব্যবহার করা না হলে জমি তার প্রকৃত মালিককে ফেরত দিতে হবে। মহিমাগঞ্জ চিনিকল বন্ধ হয়ে গেছে- ওই জমির কোথাও এখন আর আখ চাষ হয় না। দীর্ঘদিন ধরে উচ্ছেদ হওয়া জমির মালিক ও তাদের উত্তরাধিকারী আদিবাসী-বাঙালিরা জমি ফেরত পাওয়ার জন্যে চেষ্টা করছেন। কিন্তু নানান টালবাহানা করে প্রশাসন ও প্রভাবশালী মহল নিজেরাই ওই জমি গ্রাস করতে চাইছে- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করার নামে।

এরপর এসব টালবাহানাকে উপেক্ষা করে জমির প্রকৃত উত্তরাধিকারীরা নিজেদের জমির দখল নিয়েছেন- কিন্তু রাষ্ট্র কী আর এতো সহজে মানবে? তাই তাদের উচ্ছেদ করতে গুলি চালানো হয়েছে। পাঁচজন আদিবাসী গুরুতর জখম হয়ে এখন রংপুর মেডিকেল কলেজে আছে।

এই ব্যাটা দখলবাজ রাষ্ট্র আর মাস্তান প্রশাসন- তোরা কী এখন নিজেদের বানানো আইনও আর মানবি না? সবকিছু কেবল তোদের উদরেই পুরতে হবে? আর দেশের বাদবাকী সব মানুষ সাগরে ভেসে এসেছে?

মহিমাগঞ্জে রাষ্ট্রের জবরদখল ও গুলির প্রতিবাদে আগামীকাল বিকাল চারটায় মহিমাগঞ্জ ভুমি অধিকার সংহতি কমিটির ডাকে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিন।