ধর্মের মিথ্যাচার, কুসংস্কার,

ইস্যু ভিত্তিক লেখা লিখতে লিখতে মানুষকে ধর্মের মিথ্যাচার, কুসংস্কার, ‘মহা বিজ্ঞানময় কিতাব’ সম্পর্কে সত্য জানানোর সময় খুঁজে পাওয়া মুশকিল! এখনো ফেইসবুকে মানুষকে ধোঁকা দিতে, ‘মহা বিজ্ঞানময় কিতাব’ দিয়ে অন্ধ আনুগত্য তরুণদের মধ্যে জাগাতে শখানেক আইডি অবিরাম তাদের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমাকে বহুজন ওসব আইডির লিংক দিয়ে জানতে চান, এক তরফা এসব প্রচারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানভিত্তিক জবাব, ধর্মীয় রেফারেন্স দিয়ে পাল্টা জবাব দেয়ার কথা মুক্তমনা-নাস্তিকদের, তারা এখন কি নিয়ে ব্যস্ত?

এসব আইডির তিন হাজারের নিচে লাইক নেই। শেয়ার কম করে হলেও চারশোর উপরে থাকে! অর্থ্যাৎ বাংলাদেশের ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশের কাছে তারা এইসব হাবিজাবি নিয়ে যেতে পারছে। একজনকে দেখলাম গল্পের ছলে নাস্তিকদের তর্কে হারিয়ে গোহারা করে দিচ্ছে! বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব চরিত্রের নামটা হয় হিন্দু ধর্মালম্বদের মত। ভাবটা এমন কুরআন নিয়ে এরকম প্রশ্ন যারা তোলা তারা সব হিন্দু! একটা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের টোন পরিস্কার।… তা করুকগে, লেখার জবাব লেখা দিয়েই দিতে হয়। কিন্তু সেই লেখাটা এখন কোথায়? উল্টো নাস্তিকরা নাসিরনগর ইস্যুর মত রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেন বেশি তেজ দেখালো না- তাতেই বাংলার মুক্তমনা-নাস্তিকরা দ্বিধা-বিভক্ত!

ঠিক করেছি কিছু পোস্ট এখন থেকে রি-পোস্ট করব যেখানে ওগুলোর জবাব দিয়েছিলাম। ‘মহা বিজ্ঞানময় কিতাবের’ ধাপ্পাবাজি নিয়ে অনেকগুলো পোস্ট লিখেছিলাম। ইস্যু ভিত্তিক লেখার প্রয়োজন আছে সত্য, কিন্তু মানুষের ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখাটাই ‘আসল লেখা’, এটা ভুললে চলবে না।