আল্লাহ নিজেই একটা ধর্ষকের প্রেরণাদাতা

কোন স্বামীর সামনে কোন নারীকে ধর্ষণ করা কি কোন ধর্ম সমর্থন করতে পারে? অথচ এইসব তালেবানরাই ইসলামের জন্য জিহাদের কথা বলে। আল্লার আইন কায়েমের কথা বলে কিন্তু এরা নিজেরাই কি জঘন্ন পাপাচারে নিয়োজিত। আসলে এইসব জঙ্গিরা ইসলামের কিছুই জানে না…। না পাঠক, আপনি বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, মানতে চান আর না-ই চান- প্রকৃত সত্য হচ্ছে একজন বন্দি ‘কাফেরের’ স্ত্রীকে তার সামনেই গণিমত হিসেবে ভোগ করা যাবে এবং তাতে মহান আল্লাপাক কোন অপরাধই মনে করেন না!

ইসলামের সেই সোনালী যুগে অর্থ্যাৎ প্রফেট মুহাম্মদের সান্নিধ্য পাওয়া সাহাবীরা, যাদের অনুকরণীয় হতে সাধারণ মুসলমানদের মসজিদ থেকে তাগিদ দেয়া হয় আজকের যুগেও, সেই তারাই একেকটি জনপদে হামলা চালিয়ে কাফেরদের পরাজিত করে তাদের নারীদের উপর হামলে পড়ত। এতটাই তারা উন্মত্ত যৌন বিকারগ্রস্ত ছিলো যে আটককৃত নারীদের বন্দি স্বামীদের সামনেই সেক্স করতে দ্বিধা করত না। এই হাদিসটি পড়লে সেসময়ের চিত্রটি পরিস্কার পাওয়া যায়- আবু সাইদ আল খুদরি বলেন – “হুনায়েন যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসুল (দ:) আওতাসে এক অভিযান পাঠান। তাদের সাথে শত্রুদের মোকাবেলা হলো এবং যুদ্ধ হলো। তারা তাদের পরাজিত করল এবং বন্দী করল। রাসুলুল্লাহর (দ:) কয়েকজন অনুচর বন্দিনীদের স্বামীদের সামনে তাদের সাথে যৌনসঙ্গম করতে অপছন্দ করলেন। তারা (স্বামীরা) ছিল অবিশ্বাসী কাফের)। সুতরাং মহান আল্লাহ কোরাণের আয়াত নাজেল করলেন – “সমস্ত বিবাহিত স্ত্রীগণ (তোমাদের জন্যে অবৈধ); কিন্তু তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের অধিকারী (যুদ্ধবন্দিনী), আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”। (সুনান আবু দাউদ, বুক নং-১১, হাদিস নং-২১৫০)।

এই হাদিস থেকে দেখা যাচ্ছে কাফের নারীদের তাদের জীবিত স্বামীদের সামনেই জিহাদীরা সেক্স করত সে সময়। তবে মুহাম্মদের কিছু কিছু সাহাবী বিব্রতবোধ করাতে সুরা নিসার ৪:২৪ আয়াত নাযিল হয়ে তাদের লজ্জ্বা অনুশোচনার হাত থেকে রেহাই দেয়া হয়েছিলো। তালেবানদের হাতে আটক কানাডিয়ান-আমেরিকান নাগরিক জোসুয়া বয়েলের পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে দেখা যাচ্ছে কোনটাই ইসলামের অথেনটিক সোর্সের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। তালেবানরা প্রফেট মুহাম্মদের সরাসরি সাহাবীদের দেখানো পথই অনুসরণ করেছে…।

গণিমতের মাল লুন্ঠন এবং কাফের রমনী অবাধে ধর্ষণের জন্য ইসলামের সেই প্রাথমিক যুগে দলে দলে প্রফেট মুহাম্মদের দলে লোকজন নাম লিখিয়েছিলো মদিনাতে। নারী লোভে উন্মত্ত অনুসারীদের নিয়ে ভবিষ্য ভেবে প্রফেট মুহাম্মদ বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন তাই লাগাম টেনে ধরেছিলেন দুটি নিয়ম ঠিক করে দিয়ে। বন্দি নারীদের মাসিক হবার পরই কেবল সেক্স করা যাবে এতে তাদের স্বামীরা জীবিত থাকুক আর না-ই থাকুক। দুই, গণিমতের মাল নবী ভাগ করে দেয়ার আগে কেউ তাতে হাত দিতে পারবে না…। সত্যিই ইসলাম একটি সুশৃঙ্খল ধর্ম – কি বলেন?