আমার চোখে একটু সমস্যা আছে। টেলিভিশনের ক্রিকেট স্কোর অনেক সামনে গিয়ে চেয়ে দেখতে হয়। পাকিস্তান ক্রিকেট দল আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পোশাকের রং একই রকম। মাহমুদুল্লা কিংবা মুশফিক যখন সিজদা দেয় মাঠে তখন আগে থেকে আমাকে বলে না দিলে আমি আলাদা করতে পারি না মাঠে খেলছে কারা- বাংলাদেশ না পাকিস্তান? দুটো ছবি দিলাম মিলিয়ে দেখুন। একটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানীদের দলগতভাবে মাঠে সেজদার ছবি। আরেকটি গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মুশফিক রহিমের সেঞ্চুরী পর তার মাঠে সিজদার ছবি। কি, খুব বেশি আলাদা করা যায়?
মুশফিকের বড় ভাই মাদক বেচে। পুলিশের কাছে ধরা খেয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলো। মুশফিকের বাবার বিরুদ্ধের এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ আছে। মুশফিক নিজে যে ধরণের কান্ডজ্ঞানহীনতার পরিচয় আগে দিয়েছে, যেমন বিপিএলে আফ্রিদির সামনে ক্যাপ্টেনসি করতে বিব্রতবোধ করায় আফ্রিদির হাতেই ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দেয়া, কোরবাণীর গরুর রক্ত ফেইসবুকে পোস্ট করা, ভারত-উন্ডিজ ম্যাচে ভারত হেরে গেলে তার মাত্রাহীন উল্লাস প্রকাশ করে ফেইসবুক পোস্ট- এসব তার নিচু পারিবারিক সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। সে ভবিষ্যতে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে গেলে আমি অবাক হবো না। পাকিস্তানী সব ক্রিকেটাররাই ধার্মীক হয়। মাঠে প্রাক্টিসের সময় আজানের সময় হলে গেলে সেখানেই নামাজ পড়তে দাঁড়িয়ে যায়। আজানের সময় খেলতে না চাওয়া, প্রতিটি বাক্যে ‘ইনশাল্লাহ’ ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা, দাঁড়িয়ে পানি না খেয়ে বসে খাওয়া ইত্যাদি ইসলামী আচার পালন করেই তারা একেকজন বড় বড় ম্যাচ ফিক্সার! ধারণা করা হয় স্পট ফিক্সিংয়ে পাকিস্তানী ক্রিকেটাররা এখনো জড়িত। ইসলাম প্রেমি ক্রিকেটাররা খেলাটাকে হারাম মনে করে। হারাম জিনিসকে কুলষিত করতে তাদের তাই কোন বিবেক দংশন হয় না। আশা করব মুশফিক বাংলাদেশকে কোনদিন ছোট করবে না। তবে মাঠে ইসলাম প্রচার তাকে আমার সন্দেহের তালিকাতেই রাখবে। এটা আমার সামাজিক অভিজ্ঞতাই সতর্ক করে তোলে…।