টিভি ও সংবাদ পত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত যৌথ সোর্স থেকে খবরকে একীভূত করে এই রিপোর্টটি লিখে ফেললাম।
দেশে কোন নির্বাচন এলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আতঙ্কে থাকতে হয়। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজলোর অর্জুন বিশ্বাসকে হত্যা, দিনাজপুরে ইসকন মন্দিরে হামলা, ফরিদপুর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলোক সেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভবনামৃত সংঘ (ইসকন) ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভের একপর্যায়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন প্রতিবাদকারীরা। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) বাংলাদেশের সভাপতি সত্যরঞ্জন বাড়ৈ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্র্রতি ফরিদপুর জেলার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলোক সেনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে ইসকন মন্দিরে হামলা ও ইসকন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়কে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থানে হিন্দুদের মঠ-মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু বরাবরের মতো সরকার অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানসহ সবার অংশগ্রহণেই এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। তার পরেও একের পর এক মসজিদ-মন্দিরে হামলা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
তারা বলেন, দেশে নির্বাচন এলেই তা হিন্দু নির্যাতনে পরিণত হয়। বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না হওয়া সত্ত্বেও ভোট দেয়া ও না দেয়াকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায় দুঃশ্চিন্তা ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটায়। পৌরসভাগুলোর আসন্ন নির্বাচন চলাকালে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় হিন্দু সম্প্রদায় এখন আতঙ্কিত। প্রতিটি হামলার ঘটনার প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, আর কোনো মন্দিরে হামলার ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সরকারের নজরদারির দাবি জানানো হয়। আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি হামলাকারীদের ধরা না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন নেতার।