চলছে প্রতিমা ভাঙচুর। যেন আর থেমে নেই এই যজ্ঞ। গত শনিবার আমাদের এলাকা চাঁদপুর সদরে খোদ আওয়ামীলীগেরই সন্ত্রাসীরা দল বল নিয়ে এসে ভাংচুর করে পুজোর প্রতিমা। কুত্তারবাচ্চাদের আর মনে একটুও রহম হলোনা অথচ এরাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলে তুবড়ি ছোটায়।
এইদিন ছাত্রলীগের হামলায় মন্দির কমিটির সভাপতিসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, মন্দির কমিটির সভাপতি উজ্জ্বল ঘোষ, পলাশ ঘোষ, বাবুলাল ঘোষ, কালিপদ ঘোষ, সুমন ঘোষ ও সুকুমার ঘোষ। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। বুধবার গভীর রাতে চাঁদপুর সদরে মৈশাল পাড়াতে এ ঘটনাটি ঘটে। আমার তো মনে হয় বাংলাদেশের সকল মসজিদ যদি এখন
কেউ ভেঙ্গে দেয় তাহলে এইসব সাচ্চা মুসলমানদের কেমন লাগবে , তা দেখার খুবি ইচ্ছা আমাদের। এরা বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ আমাদের জ্বালিয়ে মেরেছে, আমাদের ধর্মের উপর চরম আঘাত হেনেছে।
আমার এক দূর সম্পর্কের ভাই ছিলেন এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁর নাম নাম শংকর। তিনি জানান, স্থানীয় জেলা পরিষেদের ১৩ নং ওয়ার্ড সদস্য দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তার বাহিনী রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ঘুমন্ত মানুষের উপর হামলা চালায়। এতে নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়। সন্ত্রাসী বাহিনীরা চলে যাওয়ার সময় কচুয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে চলে যায়। মন্দিরের ভাঙচুরকৃত মূর্তিগুলোর মধ্যে বিষ্ণু, ব্রম্মা দূর্গা, কার্তিকসহ ৫টি মূর্তি রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আঙ্গুর হোসেন জানান, আমি সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। জেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার ও তার বাহিনী এ কাজ করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
জেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে জানান, আমি স্থানীয় গুনাকরকাটি বাজারে চুল ছাটাই করছিলাম। আমার দুই ভাগ্নে শুভ ও শাওন আমাকে নিতে আসছিল। পথিমধ্যে কচুয়া ঘোষ পাড়া নামকস্থানে আসলে কিছু যুবক আমাকে নিয়ে কটূক্তি করছিল। এ সময় আমার ভাগ্নেদের সাথে তাদের কথাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা সঠিক নয় বলে তিনি জানান। তবে রাত ১২টায় চুলছাটার কোন ঘটনা ঘটেনি বলে গুনাকরকাটি বাজার কমিটি জানায়।
চাঁদপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কিছু মুসলমান হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিমার ওপর হামলা চালায়। এগুলো রক্ষায় অন্যরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। হামলা শেষে ফিরে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা মন্দিরে ঢুকে বিষ্ণু, ব্রম্মা, দূর্গা ও কার্তিকের মূর্তি ভাংচুর করে।
সবচাইতে আশ্চর্যের ঘটনা হোলো, এই ব্যাপারে মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নেয়া হয় নাই এবং পুলিশ সেখানে আমার কাকা, জ্যাঠাদের আপত্তিকর ভাষায় গালাগালও করেছে। এটা আমরা কোন দেশে বসবাস করছি? মুসলমান্দের নেতা ওই মোহাম্মদ কি তাহলে সন্ত্রাসী ছিলো? ওই মোহাম্মদই কি তাদেরকে সেইসব সন্ত্রাসী কর্ম কান্ডের দীক্ষা দিয়ে গেছে?