চলতি পথে ইদানীং বেশ কিছু বরাহ শাবকের দেখা পাচ্ছি যেগুলো বিভিন্ন সময় বলার চেষ্টা করে বা বোঝাবার চেষ্টা করে কিংবা স্রষ্টা প্রদত্ত লজ্জা নামক বিষয়টি ছুড়ে ফেলে বলেই ফেলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা নাকি ভারতের মুসলিমদের থেকে ভাল আছে। এই অমানুষ গুলো শুধু এটুকুই বলে না আরও বলে বাংলাদেশে নাকি হিন্দুদের উপর কখনও নির্যাতন করা হয় না বা সামান্য কিছু নির্যাতন ছাড়া আর কখনও হয়নি।এই সকল নির্লজ্জ বেহায়া প্রজাতির বরাহ যারা নিজেদেরকে মনুষ্যগর্ভে জন্মগ্রহন কারী বলে দাবী করে তাদের মুখের উপর এই লেখাটি ছুড়ে দেবেন।
বাংলাদেশের জন্মলগ্নে অর্থাৎ ১৯৭১ সাল থেকে যদি বাংলাদেশের নিজস্ব ইতিহাস বলে দাবী করে তবে সেই ১৯৭১ সাল থেকেই হিন্দুদেরর উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে টার্গেট করে জাতিগত নির্মূলীকরণ এর খেলায় নেমেছিল পাকিস্তানি বাহিনী আর তাদের পোষা বাংলাদেশী দোসর আলবদর, রাজাকার আর আল শামস নামক বাহিনী।তাদের অত্যাচার নির্যাতন ধর্ষণ গুলো প্রধানত ছিল বেছে বেছে বাংলাদেশের হিন্দু এলাকা গুলোতে।এর প্রমান সে দেশে যে মানবতাবিরধি অপরাধে দণ্ডিত পাকিস্তানি দোসরদের বিচার চলছে সে গুলোর দিকে তাকালেই বুঝব।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ বাঙ্গালীর অধিকাংশই যে হিন্দু ছিল তা বাংলাদেশের সরকারও স্বীকার করতে চায় না এ সম্পর্কিত একটি লেখা পড়ুন এই লিঙ্কে…
ক/ http://bangalihindupost.blogspot.com/2014/01/blog-post_29.html
খ/ http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/05/blog-post_5478.html
গ/ http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/05/blog-post_2391.html
*১৯৭১ সালের পূর্বেও পাকিস্তানি সরকার হিন্দুদের অত্যাচার করেছে তবে তা সম্ভবত বাংলাদেশ নামক দেশ সৃষ্টি হবার যে মাত্রা পেয়েছে তাকে অতিক্রম করতে পারেনি।পাক ভারত যুদ্ধে পরাজয়ের শোধ তুলতে পাকি জান্তারা বাংলাদেশের হিন্দু দের সম্পত্তি কে শত্রু সম্পত্তি বলে ঘোষণা করে।এভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ হিন্দুদের উত্তরাধিকারের বঞ্চিত হয়। সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নামে প্রভাবশালি মুসলিম ও রাজনীতিবিদেরা সে গুলো দখল করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামান হিন্দু গরিষ্ঠ রাষ্ট্র ভারতের প্রত্যক্ষ সাহায্যে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করা এবং পাকি কারাগার থেকে নিজের নিশ্চিত মৃত্যু থেকে পরিত্রান পাওয়া স্বত্বেও স্বাধীন বাংলাদেশের শত্রু সম্পত্তি নামক আইনটি নিষিদ্ধ না করে তার নাম ‘অর্পিত সম্পত্তি’ দিয়ে হিন্দুদের সহায় সম্পদ বঞ্চিত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার পথ উন্মুক্ত রাখেন।আসুন এ সম্পর্কে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিদ আবুল বারাকাত যিনি গবেষণা করে দেখিয়েছেন কি ভাবে বাংলাদেশের হিন্দুদের সম্পদ মুসলিমরা রাষ্ট্রীয় ডাকাতির মাধ্যমে গ্রাস করে নিয়েছে।
“(ক) ১৯৭১-২০১৩ অবধি ৪২ বছরে বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমে তাদের আগের সংখ্যার এক-চতুর্থাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। ২৮% ভাগ থেকে ৮% শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের গবেষণা গ্রন্থ ‘এ্যান ইনকোয়ারি ইন টু কজেস এন্ড কনসিকোয়েন্সেস অফ ডিপ্রাইভেশন অফ হিন্দু মাইনরিটিজ ইন বাংলাদেশ থ্রু দ্য ভেস্টেড প্রপার্টি এ্যাক্ট (প্রিপ ট্রাস্ট, ২০০০ সাল)’ বইয়ে দেখা যাচ্ছে ১৯৬৪ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রতি বছর ১৯৬, ২৯৬ জন হিন্দু হারিয়ে যাচ্ছেন এদেশ থেকে। প্রতিদিন হারাচ্ছেন ৫৩৮ জন মানুষ। শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তির আওতায় এপর্যন্ত ৯২৫,০৫০ হিন্দু পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ৭৪৮,৮৫০ পরিবার হারিয়েছেন কৃষি জমি, ২৫১,০৮৫ পরিবার হারিয়েছেন বসতভিটা, ৪৮,৪৫৫ পরিবার হারিয়েছেন উদ্যান জমি, ২২,০২৫ পরিবার হারিয়েছেন বাড়ির পাশের পতিত জমি, ৭৯,২৯০ পরিবার হারিয়েছেন পুকুর, ৪,৪০৫ পরিবার হারিয়েছেন বাণিজ্যিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন জমি এবং ১১৪,৫৩০ পরিবার হারিয়েছেন আরো নানা শ্রেণীভুক্ত জমি।
(খ)আসুন আবার দেখি আবুল বারকাত কি বলেছেন? শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি আইনের আওতায় এপর্যন্ত ১.৬৪ মিলিয়ন একর জমি হারিয়েছে হিন্দুরা। এটা ১৯৯৫ সালের হিসাব। এরপর পদ্মা-মেঘনায় আরো জল গড়িয়েছে। আরো অনেক সহায়-সম্বলহারা হয়েছে হিন্দুরা। এপর্যন্ত ১.৩৪ মিলিয়ন কৃষি জমি (মোট বেদখল হওয়া জমির ৮১.৭ ভাগ), ১৫৬ হাজার একর বা¯ত্তজমি (মোট বেদখল হওয়া জমির ১০% ভাগ), ২৯ হাজার একর উদ্যান জমি (মোট বেদখলকৃত জমির ১.৭৪% ভাগ), ১১ হাজার একর পতিত জমি (০.৬৮% ভাগ), ৩২৯ একর বাণিজ্যিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত জমি এবং ৫৬ হাজার একর অন্যান্য জমি (৩.৪% ভাগ)-র অর্থমূল্য ২০০০ সালের বাজারদরে গড় দামে হিসাব করলে (প্রতি ডেসিমাল ৫৭৬০ টাকা), শুধুমাত্র শত্র“ সম্পত্তি আইনের আওতায় হিন্দু পরিবারগুলো যত জমি হারিয়েছে, তার মোট আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ৯৪৪,৬৪০ মিলিয়ন টাকা যা বাংলাদেশের জিডিপি-র শতকরা ৫৫ ভাগ এবং ২০০০-২০০১-এ বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেটের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি। আবুল বারকাত আরো বলেন নগদ আর্থিক মূল্যের বিবেচনা ছাড়াও মানসিক হতাশা ও ভেঙ্গে পড়া, পারবারিক বন্ধন হারানো (পরিবারের তিন জন ওপারে ত’ চার জন এপারে), সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও স্বাধীনতার অভাবের মত বিষয়গুলোর কোন আর্থিক পরিমাপই হয় না।
*এ তো গেল ১৯৪৭ পরবর্তী নির্যাতনের ছোট্ট একটি চিত্র।আসল চিত্রনাট্য তো পুরটুকুই বাকি।আসুন এবার এক ঝলকে একটু চোখ বুলুয়ে নি ১৯৪৭ সাল থেকে কিভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নারীদেরকে অত্যাচার তথা ধর্ষণ, শারীরিক লাঞ্ছনা এবং হত্যা করেছে বঙ্গদেশের শান্তির ধর্মের অনুসারী গণ।পড়ুন এই লিঙ্কটি
ক/http://bangalihindupost.blogspot.com/2014/04/blog-post_24.html
খ/http://bangalihindupost.blogspot.com/2014/04/blog-post_7300.html
*এবার বলব আসল কথাঃ বঙ্গ দেশের বেহায়া মুসলিমরা প্রায় কুম্ভিরাশ্রু ফেলে বাবরী মসজিদ নিয়ে যেটা কয়েক বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।কিন্তু তার নিজের দেশে যে দশকের পর দশক পাইকারি হারে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ভেঙ্গে চলেছে তারা, সে বিষয়ে একদম কোন কথা শুনি না।শুধু উপলক্ষ বিচারে মন্দির ধ্বংস নয় প্রতি বছর দুর্গা পূজা নামক হিন্দু উৎসবের জন্য মুখিয়ে থাকে শান্তির ধর্মের অনুসারীরা।বাংলাদেশে এমন কোন দুর্গা পূজা হয়নি যেখানে মুসলিমরা প্রতিমা ভাংচুর করেনি।পড়ুন http://www.mayerdak.com/root/incid_archives.htm
বাংলাদেশে সারা বছর মন্দির ধ্বংসের প্রক্রিয়া চালু থাকলেও বিভিন্ন উপলক্ষে মুসলিমরা চেষ্টা করেছে মন্দির ধ্বংস করে বাংলাদেশের নাম গিনেজ বুকে তোলার।মোটা দাগে আমরা যদি উপলক্ষ গুলো বিচার করি প্রথমেই আসবে ভারতের বাবরী মসজিদ ভাঙ্গা।ভারতে বাবরী মসজিদের স্থলে রাম মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যখন দেশ ব্যাপী আন্দোলন শুরু করে তখন বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক ‘ইনকিলাব’ এরকম খবর প্রচার করে যে সেখানে বাবরী মসজিদে হামলা করা হয়েছে।যদিও তখন বাবরী মসজিদের গায়ে কেউ আচরও দেয়নি। এমন গুজবের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মুসলিমরা মেতে ওঠে হিন্দু মন্দির গুলো ধ্বংসের খেলায়।সে দেশের তৎকালীন সামরিক সরকার তখন ক্ষমতায় টিকে থাকার শেষ চেষ্টা হিসেবে আরও উস্কে দেয় মুসলিমদের।এভাবে মন্দির ভাঙ্গায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায় শান্তির ধর্মের অনুসারীগণ। সে সময়ের বাংলাদেশের ইংরেজি জাতীয় দৈনিক ডেইলি স্টার এর একটি প্রতিবেদনের অনুবাদ ছিল এমন যা থেকে আমরা সে সময়ের বাংলাদেশের হিন্দুরা কি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল তার কিছু ধারনা পেতে পারি , “1992 বাংলাদেশ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে ইসলামবাদীদের বাংলাদেশে অ মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালান হয়। সহিংসতার ঘটনা ডিসেম্বর 1992 সালে শুরু হয় এবং মার্চ 1993 পর্যন্ত চলতে থাকে।এতে 28,000 হিন্দু ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে, 2,700 ব্যবসা এবং 3,600 মন্দির ও পূজার অন্যান্য স্থানে ধ্বংস করা হয়েছে। মোট ক্ষতির হিসেব 2 বিলিয়ন টাকা থেকে বেশি।
7 ডিসেম্বর, জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীতে আক্রমণ করা হয়। ঢাকায় ভোলানাথ গিরি আশ্রম আক্রমন ও লুট করা হয়। হিন্দু মালিকানাধীন গহনা দোকান পুরনো ঢাকায় লুট হয়।রায়েরবাজারে হিন্দু ঘরে আগুন দেয়া হয়েছিল।
সার্ক চার জাতির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট দাঙ্গার কারণে আক্রান্ত হয়। 7 ডিসেম্বর, লোহার রড এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে সশস্ত্র 5,000 মুসলমানদের বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার ম্যাচ চলাকালীন সময় ঢাকা ন্যাশনাল স্টেডিয়াম মধ্যেআক্রমন করার চেষ্টা করে। পুলিশ আক্রমণকারীদের প্রতিহত করতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে । কিন্তু ম্যাচ 8.1 ওভারে পর পরিত্যক্ত হয়। উদ্যোক্তারা 11 ডিসেম্বর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার ও ফাইনাল ম্যাচ পুন নির্ধারণ করে কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়।
8 ডিসেম্বর, হিন্দু কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার হামলা চালানো হয়। মুসলমানদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত 14 হিন্দু মন্দির, তাদের আট জন দগ্ধ হয় ।
চট্টগ্রাম জেলায় ফটিকছড়ি এবং মিরসরাই গ্রাম সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়। পঞ্চানন ধাম এবং তুলসী ধাম সহ পাঁচ হিন্দু মন্দির আক্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চট্টগ্রামে ধাম হিন্দু মহিলাদের অপহরণ করা।
আরও জানতে পড়ুন
ক/http://hindurevolution.blogspot.com/2011/06/what-happened-to-bangladeshi-hindus.html
গ/http://www.mayerdak.com/root/destruction89.htm
*এর পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন,মন্দির,হিন্দু বারিঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস শুধু মাইল ফলক অতিক্রম করেছে।তবে হিন্দু নারী ধর্ষণের অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছিল ২০০১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ও ইসলামি দল জামাত ক্ষমতায় আসার পরপরই।হিন্দুরা তুলনা মুলক কম ইসলামিস্ট রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগকে ভোট দেয় এমন অজুহাতে চলতে থাকে নির্যাতনের রোলারস্টোন এবং হিন্দুদেরকে বাংলাদেশ থেকে তাড়ানোর পথ হিসেবে বেছে নেয় হিন্দু পরিবারের মেয়েদেরকে ধর্ষণ।তৎকালীন প্রশাসনের নিরবতা এবং কোথাও কোথাও প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় পুরো দেশ ব্যাপী সংখ্যা লঘু নারী-মেয়েদেরকে ধর্ষণের উতসব শুরু করে বিএনপি জামাত ক্যাডাররা। যার খুব সামান্য অংশ এসেছে মিডিয়াতে।সে সময়কার কিছু সংবাদপত্রের শিরোনাম পড়লেই আমারা বুঝতে পারব এই নৃশংসতা
ক/http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/05/blog-post_2047.html
খ/http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/05/blog-post_2861.html
গ/http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/05/blog-post_1245.html
এরপর আরেকটি বড়ধরনের হিন্দু নির্যাতন শুরু হয় ২০১৩ সালে। মুক্তিযুদ্ধের মানবাতা বিরোধী অপরাধে মিরপুরের কসাই খ্যাত কাদের মোল্লার প্রত্যাশিত ফাঁসির রায় না পেয়ে বাংলাদেশের লক্ষ তরুন তখন জমায়েত রাজধানী ঢাকার শাহবাগে।ফলে প্রচণ্ড চাপে থাকা ইসলামি দল জামাত এবং প্রধান বিরধি দল বি এন পি মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিতে আর ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে আবারও বেছে নেয় সংখ্যা লঘুদের উপর হামলা।পুরো দেশ ব্যপি একের পর এক মন্দির হিন্দু বাড়ি ঘর এবং বিশেষ করে হিন্দু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চালানো হয় হামলা।কয়েকদিনের ভিতর কয়েক হাজার মন্দির আর বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়।এই সুযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে তৎকালীন শাসক দল আওয়ামীলীগএর নেতারাও হিন্দুদেরকে অত্যাচার করে।সে সময়ের কিছু পত্রিকার খবর পড়তে দেখুন এই লিঙ্কে যেখানে হিন্দু নির্যাতনের আংশিক চিত্র ফুটে ওঠে
(ক)http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/05/blog-post_653.html
(খ)http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/05/blog-post_21.html
(গ)http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/08/blog-post.html?utm_source=BP_recent
(ঙ) http://en.wikipedia.org/wiki/2013_Bangladesh_anti-Hindu_violence
*এরপর ২০১৪ সালে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের পর আবার শুরু হয় সংখ্যা লঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন যেখানে কিছু জায়গাতে শাসকদল আওয়ামীলীগের লোকজনও যে জড়িত ছিল তার স্পষ্ট প্রমান রয়েছে।এখানেও ঘটে সংখ্যালঘু নারী ধর্ষণের ঘটনা। সে সময়ের নির্যাতনের সামান্য কিছু নিউজ লিঙ্ক পাবেন এখানে http://bangalihindupost.blogspot.com/2014/03/blog-post_4.html
*এর কিছু দিন পরেই মানবতা বিরধি অপরাধে দণ্ডিত কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর পর আবারও শুরু হয় মন্দির ধ্বংসের তাণ্ডব।কয়েকটি পত্রিকার লিঙ্ক এখানে
ক/http://en.wikipedia.org/wiki/2014_Bangladesh_anti-Hindu_violence
খ/http://bangalihindupost.blogspot.com/2014/03/blog-post.html
এছাড়া বাংলাদেশে সারা বছরই সংখ্যা লঘু নির্যাতন , মন্দির ভাঙ্গা তথা হিন্দুদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবার দুষ্ট চক্র সম্পন্ন করে চলছে শান্তির ধর্মের অনুসারী গণ।শত চেষ্টার পরেও আর্ত সংখ্যালগুদের দোষ না পেয়ে বা অজুহাত না পেয়ে নিজেরাই গুজব রটিয়ে মন্দির ভংচুর করে মুসলিমরা।চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে মুসলিমরা নিজেদের পবিত্র উপাসনাগার মসজিদ নিজেরা ভেঙ্গে হিন্দুদের উপর দোষ চাপিয়ে ভেঙ্গে ফেলে এক সাথে আটটি মন্দির যার ভিতর ছিল শতাব্দী প্রাচীন কিছু মন্দিরও।
(http://en.wikipedia.org/wiki/2012_Hathazari_violence,
কক্সবাজারের রামুতে ফেসবুকে ইসলাম অবমাননাকর ছবিতে এক যুবককে ট্যাগের কথিত অভিযোগ এনে বেশ কয়েকটি বৌদ্ধ ও হিন্দু মন্দির ভাঙ্গা হয়
(http://archive.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=253751,
http://en.wikipedia.org/wiki/2012_Ramu_violence)
।দিনাজপুরের চিচির বন্দরে( http://en.wikipedia.org/wiki/2012_Chirirbandar_violence)
কিংবা সাতক্ষীরাতে বিদ্যালয়ে নাটক প্রদর্শনের সময় ইসলাম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে হিন্দু নির্যাতন করা হয়( http://en.wikipedia.org/wiki/2012_Fatehpur_violence)
।পাবনার সাথিয়াতে ফেসবুকে ইসলাম অবমাননার গুজব রটিয়ে কয়েকশ বাড়ি ঘর ও মন্দির ভংচুর করা হয় যেখানে জড়িত ছিল আওয়ামীলীগ ক্যবিনেতের একজন প্রতিমন্ত্রী।
*এবার একটু ভারতের দিকে দৃষ্টি দি।
*বাংলাদেশের মুসলিমরা ভারতের কথা আসলেই ভাঙ্গা রেকর্ডের মত শুরু করে গুজরাট দাঙ্গার কথা। অথচ দাঙ্গাবাজ মুসলিমরা ৫৯ জন হিন্দু তীর্থযাত্রীদের পুড়িয়ে দাঙ্গার শুরু করে।গুজরাট দাঙ্গার বিস্তারিত পড়ুন…
(ক)http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/05/blog-post_8659.html#sthash.yNozyXXV.dpuf
(খ) http://www.gujaratriots.com/
মুসলিমদের আরেকটি নাকি কান্নার বিষয় হল পরিত্যক্ত বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার বিষয়টি।ভারতে সবচেয়ে বহুল আলোচিত ঘটনা হল তথাকথিত বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা। ওটা কি সত্যিই মসজিদ ছিল? যেখানে নামাজ পড়া হয় না, তা কখনও মসজিদ পদবাচ্য হতে পারে না। ‘বাবরি মসজিদে’ কোনদিনই নামাজা পড়া হয় নি, বরং ১৯৪৭ সালের পর থেকে সরকারের বেতনভুক কর্মচারী সেখানে পুজো করত। যাই হোক ওটি কখনওই মসজিদ নয়। বরং মন্দির। কিন্তু এক শ্রেণীর সেকুলার তাকে মন্দির বলে স্বীকার করতে নারাজ। তাই ভারতের পার্লামেন্টে ‘বাবরি মসজিদ’ কে কন্ট্রোভার্সিয়াল স্ট্রাকচার বা বিতর্কিত সৌধ বলে উল্লেখ করা হয়। অবশ্য আমি মনে করি বাবরি একটা প্রাচীন নিদর্শন, একে ভাঙচুর করা উচিত হয় নি। কিন্তু এটাও দেখার বিষয় যে এই ঘটনায় ভারতের মুসলিম জনসাধারণের জানমালের কোন ক্ষতি হয় নি। আর এই ঘটনার পরও মুসলিম অধ্যুষিত অযোধ্যার মানুষ বিজেপিকেই (বাবরি কান্ডের জন্য যে দলকে দায়ী করা হয়) ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। কিন্তু বাবরি পরবর্তী সন্ত্রাসে হাজার হাজার হিন্দুকে ভারত ও বাংলাদেশে (বিশেষ করে বাংলাদেশে) মারা হয়েছে, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালানো হয়েছে, লুটপাট করা হয়েছে, তা নিয়ে সেকুলাররা একেবারেই নীরব। অথচ এটা নিয়ে লজ্জিত হউয়া উচিত ছিল মুসলিমদের।বাবরী মসজিদের জায়গাতে যে মন্দির ছিল তা প্রত্নতত্ত্ব পরীক্ষায় নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হয়। …
ক/http://www.rediff.com/news/2003/aug/25ayo1.htm
খ/http://en.wikipedia.org/wiki/Babri_Mosque#Archaeological_Survey_of_India_report
এবার একটু দেখুন হিন্দু গরিষ্ঠ ভারতেই মুসলিমরা কিভাবে হিন্দুদেরকে নির্যাতন করছে তার চিত্র।কি অবিশ্বাস হচ্ছে???…
ঘটনা ১ > ২১ শে ফেব্রুয়ারী ২০১৩, পশ্চিম বাংলার ক্যানিং এর এক মুসলিম ধর্মগুরু মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস এর হত্যা এ ঘটনার মিথ্যা কথা লটিয়ে ৪০০ হিন্দুদের বাড়ি , ৫০ এর বেশি দোকান মুসলিমরা ভাংচুর করে।। এছারা হিন্দু মন্দির ধ্বংস করা, হিন্দু রমণীর এ সন্মান লুটও হয়েছিল ।।
ঘটনা ২ > ১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০১৪, পশ্চিম বাংলার হাওড়া , এই স্তান এ মুসলিম দের বিশ্ব নবি দিবস উপলক্ষে এক ধর্মীও শোভা যাত্রা বার হয়, কিন্তু কিছু পরে এই যাত্রা থেকে এক হিন্দু মেয়েকে টন টিটকিরি কাটা হয়, তাতে হিন্দুরা প্রতিবাদ করলে মুসলিমরা এই এলাকায় ৫০ টির বেশি হিন্দু বাড়ি ও দোকান ভাংচুর করে ।
হিন্দুরা আজও এই এলাকা থেকে পলাতক ।।
ঘটনা ৩ > ৬ই সেপ্টেমবার ২০১০, পশ্চিম বাংলার দেগাঙ্গা, প্রতি বছর এর মত হিন্দু দুর্গা পুজা অনুস্তান এর জন্য প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছিল, কিন্তু হটাত এলাকার মুসলিম রা হিন্দু দের প্যান্ডেল করতে বাধা দেয় তারা দাবি করে যে ওই স্থান টি মুসলিম কবর স্থান তাই পুজা করা যাবে না । কিন্তু বিগত বছর গুলিতে এই স্থান এ হিন্দু রা পুজা করে এসেছে, কিন্ত মুসলিম রা এই বার নিজেদের গায়ের জরে পুজা প্যান্ডেল ভেঙে ফেলে দেয় । তারপর ৫০০ টির বেশি হিন্দু বাড়ি, দোকান, মন্দির ধ্বংস করে । অনেক হিন্দু মহিলা কে ধর্ষণ করে ।।
এবার কিছু লিঙ্ক পড়ুন
ক/ http://debtanu1971.wordpress.com/page/2/
গ/http://debtanu1971.wordpress.com/2014/04/14/788/
*এবার দেখুন হিন্দুগরিষ্ঠ ভারতে মুসলিম জিহাদি সন্ত্রসিরা কি ভাবে সন্ত্রাস, মানুষ হত্যার খেলায় মেতেছে তার চিত্র…
http://en.wikipedia.org/wiki/Moplah_Rebellion
http://en.wikipedia.org/wiki/Noakhali_genocide
http://en.wikipedia.org/wiki/1997_Sangrampora_massacre
http://en.wikipedia.org/wiki/1998_Wandhama_massacre
http://en.wikipedia.org/wiki/1998_Chamba_massacre
http://en.wikipedia.org/wiki/1998_Chapnari_massacre
http://en.wikipedia.org/wiki/2000_Amarnath_pilgrimage_massacre
http://en.wikipedia.org/wiki/2001_Kishtwar_massacre
http://en.wikipedia.org/wiki/Godhra_train_burning
http://en.wikipedia.org/wiki/2002_Raghunath_temple_attacks
http://en.wikipedia.org/wiki/2002_Qasim_Nagar_massacre
http://en.wikipedia.org/wiki/Akshardham_Temple_attack
http://en.wikipedia.org/wiki/2003_Nadimarg_Massacre
http://en.wikipedia.org/wiki/2002_Kaluchak_massacre
http://en.wikipedia.org/wiki/Marad_massacre
http://en.wikipedia.org/wiki/2006_Varanasi_bombings
http://www.indianexpress.com/storyOld.php?storyId=1822
https://en.wikipedia.org/wiki/1993_Bombay_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/1998_Coimbatore_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/2000_terrorist_attack_on_Red_Fort
https://en.wikipedia.org/wiki/2002_Mumbai_bus_bombing
https://en.wikipedia.org/wiki/Kurnool_train_crash
https://en.wikipedia.org/wiki/2002_Jaunpur_train_crash
https://en.wikipedia.org/wiki/29_October_2005_Delhi_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/2003_Mumbai_bombing
https://en.wikipedia.org/wiki/2005_Jaunpur_train_bombing
https://en.wikipedia.org/wiki/2006_Mumbai_train_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/25_August_2007_Hyderabad_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/Jaipur_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/2008_Bangalore_serial_blasts
https://en.wikipedia.org/wiki/2008_Ahmedabad_blasts
https://en.wikipedia.org/wiki/13_September_2008_Delhi_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/27_September_2008_Delhi_blast
https://en.wikipedia.org/wiki/29_September_2008_western_India_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/2008_Agartala_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/2008_Imphal_bombing
https://en.wikipedia.org/wiki/2008_Assam_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/2008_Mumbai_attacks
https://en.wikipedia.org/wiki/2009_Guwahati_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/2009_Assam_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/2010_Pune_bombing
https://en.wikipedia.org/wiki/2011_Mumbai_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/2011_Delhi_bombing
https://en.wikipedia.org/wiki/2012_Pune_bombings
https://en.wikipedia.org/wiki/2013_Hyderabad_blasts
https://en.wikipedia.org/wiki/2013_Bangalore_blast
…………………………………………আমি ক্লান্ত।
*মুসলিমরা কাশ্মীর নিয়ে কান্না কাটি করে। কিন্তু এই কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত হয়েছেন কাশ্মিরের ভু সন্তান হিন্দুরা, এ বিষয়টি নিয়ে কিন্তু বাংলাদেশ কিংবা ভারতের মুসলিমরা একটু শব্দও করে না। হাজার হাজার কাশ্মিরি হিন্দুদের হত্যা করে আজ কাশ্মীর মুসলিম গরিষ্ঠ,মুসলিম শাসন শুরু থেকেই একের পর এক মন্দির ধ্বংস করেছে আব্রাহামিক অসুররা ।পড়ুন…
(ক)http://www.ikashmir.net/history/fundamentalism.html
(খ)http://en.wikipedia.org/wiki/Kashmiri_Pandit
(গ)http://www.thecsf.org/pdfs/presentation_on_kashmiris.pdf
(ঙ)http://bangalihindupost.blogspot.com/2014/04/list-of-hindu-temples-destroyed-by.html (কাশ্মিরে ধ্বংস করা মন্দিরের তালিকা)
*এবার আসুন একটু চোখ দি মুসলিম শাসন আমলে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের বিশেষ করে হিন্দু মন্দির গুলোর কি অবস্থা ছিল। “মুসলিমদের নূন্যতম অধিকার নেই বাবরী মসজিদ ধ্বংস সম্পর্কে অভিযোগ করার।১০০০ খ্রিষ্টাব্দ হতে কাথিওয়ার থেকে বিহার,হিমালয় থেকে বিন্ধ্যাচল পর্যন্ত প্রতিটি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে।উত্তর ভারতের একটি মন্দিরও ধ্বংস থেকে বাঁচেনি।যে কয়েকটি বেঁচেছিল সেগুলো এইকারনেই যে প্রতিকূল ভৌগলিক অবস্থানের কারনে মুসলিম বাহিনী সেখানে পৌঁছতে পারেনি।অন্যথা এটা ছিল ধ্বংসের এক বিরামহীন যজ্ঞ।আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন কোন জাতি ই এটা ক্ষমা করবেনা।অযোধ্যার ঘটনা কখনোই ঘটতো না যদিনা মুসলিমরা(রাম মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ করার) ঐতিহাসিক সত্যটাকে স্বীকার করত।”
-নিরোদ সি চৌধুরী,(তথাকথিত) শান্তির ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় গোঁড়ামী ও নিগ্রহের সংস্কৃতি সম্বন্ধে।
আসুন মন্দির ধ্বংসের কিছু বিবরণ পড়ি…
ক/http://rajiv-varma.blogspot.com/
খ/http://en.wikipedia.org/wiki/Persecution_of_Hindus
গ/http://www.stephen-knapp.com/islamic_destruction_of_hindu_temples.htm
ঘ/http://www.frontline.in/static/html/fl1725/17250620.htm
ঙ/http://en.wikipedia.org/wiki/Religious_violence_in_India
চ/https://en.wikipedia.org/wiki/Kashi_Vishwanath_Temple#History
ঙ নং লিঙ্কে ক্লিক করে পরুনঃ Aurangzeb destroyed a number of temples with figures varying from 80 to 60,000 এক জঙ্গি মুঘল আউরংজেব ধ্বংস করে ৮০ থেকে ষাট হাজার মন্দির।কি!অবিশ্বাস্য মনে হয় তাই না??আরও পড়ুন http://www.hindu.com/fline/fl1726/17260700.pdf
চ নং লিঙ্কে ক্লিক করে পড়ুন The first temple was demolished by invading armies of Qutub Din Aibak in 1194. In that raid almost 1000 temples of Varanasi were destroyed and the city fell into ruin। কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে, ১১৯৪ সালে কুতুবউদ্দিন আইবেক নামক দস্যু প্রথম আক্রমনেই এক হাজার মন্দির ধুলির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিল।
*সুলতান মাহমুদ গজনি সোমনাথ মন্দির আক্রমন করে পঞ্চাশ হাজারের উপর নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে।
অথচ বিশ্বের অন্য কোন জাতি হলে এই ধর্ম অবমানার শোধ ঠিকই নিত। কিন্তু ভারত বর্ষ বলে শোধ নেয়া দুরের কথা উল্টো সোমনাথ মন্দির ভেঙে নির্মিত মসজিদ সরকারি টাকায় আবার পাশেই নির্মাণ করে দেয়া হয়… http://bangalihindupost.blogspot.com/search/label/%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5
*কৃষ্ণজন্ম ভূমি মথুরায় নির্মিত কেশব দেউ মন্দিরের স্থলে নির্মিত মসজিদ ইদ্গাহ সরকারি টাকায় রক্ষনাবেক্ষন করা হয়… http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/12/blog-post_2329.html
ভারতের অন্যতম প্রাচীন মন্দির কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের স্থলে নির্মিত জ্ঞানবাপী মসজিদ সরকারি টাকায় সংস্কার করা হয় এবং তা রক্ষার জন্য ‘ বিশেষ ধর্মস্থান আইন’ তৈরি করা হয়; আর আদি স্থানের দাবী ছেড়ে পাশে মন্দির পুনঃস্থাপন করা হয়।… http://bangalihindupost.blogspot.com/2013/12/blog-post_18.html
এগুলো একমাত্র ভারত আর বৈদিক ধর্মের সন্তানেরাই করতে পারে।বিশ্বে আর কোন জাতি কিংবা মতবাদের অনুসারী গণ এমন দৃষ্টান্ত দেখাতে পারেনি।
ভারত বলেই আজ মুসলিমেরা হজের জন্য সরকারি সাহায্য পায়,ভারত বলেই সেখানে মুসলিম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে পারেন,ভারত বলেই সেখানে সংখ্যালঘুদের জন্য সরবস্থলে কোটা ব্যবস্থা থাকে।পৃথিবীর সব দেশের মত ভারতের মুসলিমদের ক্রমাগত উস্কানি স্বত্বেও তাদের কে লালন করা হয়।এগুলো সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে কোন দিন সম্ভব নয় কল্পনাতেও।
*তাই আবার বলি, “অন্তত ঈশ্বরের নামে জোরে জোরে চিৎকার করতে করতে নীরিহ মানুষ হত্যা করতে শিখিনি আমি । অন্যের উপাসনালয় ভেঙ্গে বা দখল করে আমার ঈশ্বরের মন্দির গড়তেও শিখিনি আমি । ভিণধর্মি নারীকে ফ্রি ভোগ করবার অনুমতি দেয়নি আমাকে আমার ঈশ্বর । আমার ধর্মগুরুরা সহস্র মানুষের সামনে আমার ধর্মানুষ্ঠানে অন্যধর্মীদের গালিগালাজ করে না, আমাকে গালিগালাজে উৎসাহও দেয় না । আমি যখন প্রার্থণা করি, সমগ্র পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকুলের জন্য প্রার্থণা করি ।শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এক সম্প্রদায়ের জন্য প্রার্থণা করে আজন্ম সাম্প্রদায়িকতা লালন করি না । কাউকে জোর করে ধর্মান্তর করবার মত কুমন্ত্রও শেখানো হয়নি আমায় ।
শুধুমাত্র হিন্দু বলে যা যা করিনা আমি, যা যা শিখিনি তার জন্য নিশ্চিত করেই গর্বিত আমি । নিশ্চিত করেই হিন্দু পরিবারে জন্মেছি বলে এতগুলো অপকর্ম আমাকে স্পর্শ করবে না কোনদিন।”
*নোটটি তৈরি করতে আমাকে সব থেকে সাহায্য করেছে bangali hindu post(https://www.facebook.com/BangaliHinduPost) ফেসবুক পেজ এবং তাদের ব্লগ সাইট http://bangalihindupost.blogspot.com/