নবিজির সেক্সুয়াল পার্ভার্সনের কাহিনি কারোই অজানা নয়। তবে ব্যক্তি ও চিন্তাভেদে তার গ্রাহ্যতা ভিন্ন। অমুসলিমরা তার পার্ভার্সনকে পার্ভার্সন হিসাবেই দেখে। মুসলিমরা দেখেও দেখে না।
মেরাজের রাতে যখন নবী রাতে উধাও হয়ে দিনে উম্মে হানির ঘর থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন সেদিন তিনি তার ভক্তকূলের সন্দেহের পাত্র হন। কারণ সবাই জানতো তার পার্ভার্সনের কথা। সকালে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হল রাতে কোথায় ছিলেন, তখন তিনি গল্প ফেঁদে বসলেন তিনি একরাতে মহাবিশ্ব, জান্নাত, জাহান্নাম দেখে আসছেন!
এটার একটা কারণ ছিল। আরব্য মেষপালকরা মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানতোই কতদূর! তাদের যা বলবেন তারা তা-ই খাবে৷ চাদের ওপারে হিন্দ আছে বললেই তারা মেনে নিত। কিন্তু বিস্ময় বিশ্বাসের জন্যে যথেষ্ট না। বিস্ময়ের মোহ সাময়িক। লোভের মোহ একটু দীর্ঘস্থায়ী।
তাই তিনি জান্নাতের কথা বললেন। জান্নাতে মদ, নারী, খাবার সব থাকবে ভুড়িভুড়ি৷ মেষপালরা যারা বিয়ে এফোর্ড করতে পারতো না তাদের লোভ দেখানো হলো ৭২ হুরের। When in doubt, arouse people! যারা খাবারের সীমাবদ্ধতায় ভুগতো, তাদের দুধের নদীর কথা বলে তিনি লোভ লাগালেন। স্বচ্ছ মাথার কেউ থাকলেও অভাবী আর কামাতুরদের সামনে কিছু বলার সাহস তারা জোগাড় করতে পারে নি।
তৃতীয়ত তিনি ভীতির সঞ্চার করলেন তাদের মধ্যে। তাকে যারা অবিশ্বাস করবে তাদের শাস্তি জানিয়ে দিলেন। তাকে অবিশ্বাস করে গণধোলাই আর গণধোলাইয়ে মারা গেলে আজীবন দোযখ। আর যায় কই!
এরপরে তিনি নিজের গুরুত্ব বুঝালেন। প্রমিনেন্ট নবীদের সাথে তার সাক্ষাৎ, তারা তাকে ট্যুর দেয়া প্রমাণ করে তার গুরুত্ব। আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করা তার গুরুত্ব দেখায়। নামাজের সংখ্যা নিয়ে দর কষাকষি তার গুরুত্ব দেখায়।
এসব ফ্যাক্টরের কারণে সাহাবিরা মেনে নেয় মুহাম্মদ আসলেই বড় চীজ! সন্দেহ করার খুব যে সু্যোগ ছিল তাও না, কারণ সন্দেহের ফলাফল শুভ হতো না।
উম্মে হানির সাথে ফষ্টিনষ্টি শেষ পর্যন্ত আউটস্ট্যান্ডিং দাবির মুখে হেরে গেল।